জামাইষষ্ঠীর আগে সুখবর, ইলিশ আনতে মাঝসমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে ট্রলার
সোমবারই ইলিশের খোঁজে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনা, শঙ্করপুর ও পেটুয়ায়ঘাট মত্স্য বন্দর থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে বেশকিছু ট্রলার।
কলকাতা: সামনের সপ্তাহে জামাইষষ্ঠী। তার আগে, ইলিশপ্রেমী বাঙালির জন্য সুখবর। সোমবারই দিঘা মোহনা, শঙ্করপুর ও পেটুয়ায়ঘাট মত্স্য বন্দর থেকে ইলিশের খোঁজে সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে বেশকিছু ট্রলার। জামাইষষ্ঠীর আগেই ফিরে আসবে সেগুলি।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, সেই সঙ্গে পাতে ইলিশ। বর্ষাদিনে বাঙালির অন্যতম প্রিয় কম্বিনেশন। এর ওপর আবার, সামনের সপ্তাহে জামাইষষ্ঠী। সেই দিনে যদি পাতে থাকে রূপোলি ফসল, তাহলে তো আর কথাই নেই। আসার কথা শোনাচ্ছেন মত্স্যজীবীরাও।
সোমবারই ইলিশের খোঁজে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনা, শঙ্করপুর ও পেটুয়ায়ঘাট মত্স্য বন্দর থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে বেশকিছু ট্রলার। জামাইষষ্ঠীর কথা ভেবে, ১-২ দিনের মধ্যেই ফিরে আসবে ট্রলারগুলি।
পেটুয়াঘাটের মত্স্যজীবী উত্পল মাইতি জানাচ্ছেন, মৎস্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ফিশিংয়ের ব্র্যান্ড পিরিয়ড শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ তারিখ। তাই ১৪ তারিখেই এই সমস্ত ট্রলার সমুদ্রে উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে রুপালি ইলিশের খোঁজে। জামাইষষ্ঠীর জন্য তাড়াতাড়ি ফিরে আসব।
তবে, এরইমধ্যে নতুন সমস্যায় পড়েছেন মত্স্যজীবীরা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে, বিকল হয়ে পড়েছে একাধিক বরফকল। ফলে, মাছ সংরক্ষণের জন্য বেশি টাকায় বরফ কিনতে হচ্ছে।
ট্রলার কর্মী কালীপদ দাস বলছেন, বরফের সমস্যা। তাও যাচ্ছি, এই সময় অনেক মাছ পাব। ট্রলার মালিক কার্তিক সাউ-এর কথায় বরফের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ইয়াসের দাপটে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার অধিকাংশ বরফকল এখন বিকল। তাই চাহিদা থাকায় তত্ত্ব দিয়ে বাড়ছে বরফের দাম। তবুও ভোজনরসিক বাঙালির পাতে জামাইষষ্ঠীতে রুপোলি ইলিশ তুলে দিতে বদ্ধপরিকর ট্রলার মালিকরা।
উল্লেখ্য, জামাইষষ্ঠীর আগে ওড়িশা থেকে দিঘায় ২টন ইলিশ এসেছে ইতিমধ্যেই। দিঘার ব্যবসায়ী মহল সূত্রে খবর, এখন থেকে ইলিশের এরকম আমদানি চলতে থাকবে। বৃহস্পতিবার ওইসব ইলিশ এসেছে দিঘা-ওড়িশা সীমান্তের 'বিকেপি' মাছের আড়তে।
ওড়িশা থেকে আসা ইলিশগুলোর ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি। ৩০০ গ্রাম ওজনের কেজি প্রতি ইলিশের দাম ৩০০ টাকা। অন্যদিকে, ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০ টাকা, ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম ৮০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাজার টাকা কেজি।