চম্পাহাটিতে রেললাইনের ধারে বাজার করতে এসে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ৩
চম্পাহাটি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে ক্যানিং লোকালের ধাক্কায় মৃত ৩। ঘটনা ঘিরে চম্পাহাটি স্টেশনে উত্তেজনা। জবরদখলের কারণেই বিপদ। দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। রেল লাইনের ধারে বসেছে বাজার! ঝুঁকি নিয়েই চলছে আনাগোনা! শহর থেকে শহরতলি, বিভিন্ন রেল স্টেশন চত্বরের এটাই নিত্যদিনের ছবি। বিপদের আশঙ্কা ষোলো আনা..তাও অবাধে চলে ঝুঁকির যাতায়াত। প্রাণ দিয়ে যার মাসুল গুণলেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার তাড়দহের ৩ বাসিন্দা! ঘড়িতে তখন সকাল ৬.৪০। চম্পাহাটি স্টেশন ছেড়ে বেরোচ্ছে শিয়ালদাগামী ক্যানিং লোকাল! সেই সময় রেললাইন লাগোয়া পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে ফিরছিলেন কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎই আপ লাইনে ট্রেন চলে আসায় হতভম্ব হয়ে লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে পড়েন ৩ জন। যার পরিণতি হয় মর্মান্তিক! রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিণ্টু মণ্ডল ও মামণি মণ্ডল নামে দু’জনের। গুরুতর আহত এক বৃদ্ধা হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আরপিএফ ও জিআরপি-র জওয়ানরা। গোটা চম্পাহাটি স্টেশনে তখন লোকারণ্য। ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোরবেলা থেকে রেললাইনের ধার ঘেঁষে মাছের বাজার বসে। ফলে যখন তখন বড় বিপদের সম্ভাবনা থাকে। জবরদখলের জেরেই বিপদের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষেরও। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, জবরদখল ছিল, রেল এদের বারবার তুলে দিয়েছে, কিন্তু, আবার বসে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য না পেলে কী করে হবে? বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিত্ সিংহ জানিয়েছেন, রেলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্য সরকারের উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে রেলের তরফে আবেদন জানালে, সব রকম সাহায্য করা হবে।