'ঘূর্ণিঝড়ের পর নন্দীগ্রামে কেউ আসেনি, আমিই পাশে থেকেছি', ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
তৃণমূল বিধায়ক যোগ করেন, ‘চরৈবেতি চরৈবেতি করে আমরা এগিয়ে যাব....’
পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার নন্দীগ্রামে কালীপুজো উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর নন্দীগ্রামে কেউ আসেনি। আমিই বারবার ছুটে এসেছি, পাশে থেকেছি।’
তৃণমূল বিধায়ক যোগ করেন, ‘চরৈবেতি চরৈবেতি করে আমরা এগিয়ে যাব। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, এদিনই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, আর্বজনায় ভরে গিয়েছে তৃণমূল। যাঁরা সেখানে কাজ করতে পারছেন না, তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানান।
দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূলে অনেকেই কাজ করতে পারছেন না, যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে চলে আসুন। দিলীপ ঘোষের এই বার্তার পর শুভেন্দুর এই মন্তব্যতকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক তৃণমূলের নেতার গলায় শোনা গিয়েছে বিদ্রোহের সুর। সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ও ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত -- সকলকেই মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে।
সর্বশেষে, বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। এরপর তাঁর সঙ্গে কথা বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন বেচারাম মান্নার বাড়িতে গেলেন হুগলি তৃণমূলের মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল।