এক্সপ্লোর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু আমাদের পার্টির ভাল নেতা ছিল, যদি বিজেপিতে যায়, আর মুখদর্শন করব না, বললেন সৌগত
Saugata Roy on Suvendu Adhikari: বরানগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ সৌগত রায়ের।

কলকাতা: ‘শুভেন্দু আমাদের পার্টির ভাল নেতা ছিল। যদি বিজেপিতে যায়, আর মুখদর্শন করব না।’ বরানগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ সৌগত রায়ের। তাঁর কটাক্ষ, ‘কঠিন সময়ে জাহাজ ডুবল বলে বিজেপির সমুদ্রে ঝাঁপ। জাহাজ ডুবল ভেবে সমুদ্রে ঝাঁপ দিলে মরে যাবে।’ এদিকে, শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছেদের সম্ভাবনা যত জোরাল হচ্ছে, ততই জেলায় জেলায় রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর নাম-ছবি দেওয়া পোস্টার, ব্যানার পড়ছে দাদার অনুগামীদের নাম করে। এবার তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত খাস দক্ষিণ কলকাতার ৬-৬টি জায়গায় একই ধরনের পোস্টার দেখা গেল। বৃহস্পতিবার যাদবপুর এইটবি, গোলপার্ক, গড়িয়াহাট মোড়, গড়িয়াহাটের বাসন্তী দেবী কলেজের সামনে এবং রাসবিহারী মোড় ও সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে দাদার অনুগামীদের দেওয়া পোস্টার চোখে পড়ল। এছাড়াও, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বিধায়কের নামে পোস্টার পড়েছে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বাজারেও। দাদার অনুগামীদের নামে এই পোস্টার দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাঁকুড়া জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিপত্তারণ সেন কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। তাই এই দলে কেউ থাকতে চাইছেন না। তৃণমূলের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে দাদার অনুগামী সেজে পোস্টার দিচ্ছে। বিজেপিতে আসার চেষ্টা করছে।’ পাল্টা তালড্যাংরার তৃণণূল ব্লক সভাপতি মনসারাম লায়েক বলেছেন, ‘এলাকার মানুষ পোস্টার দেয়নি। রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে এসে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কেউ নেই। সবাই একসঙ্গেই কাজ করে। দাদার অনুগামী বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।’ সূত্রের খবর, রবিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু। গোটা রাজ্যের নজর সেদিকেই। আজ দুপুরে গড়বেতায় ক্ষুদিরাম বসুর একটি মূর্তি উন্মোচন করলেন শুভেন্দু। তার আগে চন্দ্রকোনা থেকে গড়বেতা পর্যন্ত বাইক মিছিল করেন শুভেন্দু-অনুগামীরা। এছাড়াও আজ দুপুরে হলদিয়ায় শুভেন্দুর অনুগামীদের পদযাত্রা ছিল। পাশাপাশি আজ তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে হ্যামিলটন হাই স্কুল পর্যন্ত হাতে তেরঙা নিয়ে পদযাত্রা করেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। উদ্যোক্তা তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। যার সভাপতি শুভেন্দু নিজেই। গড়বেতায় শুভেন্দু বলেন, ‘গড়বেতায় ২০১১ সালের আগে আমিই সবচেয়ে বেশি আসতাম। দশকের পর দশক ধরে আসছি। গ্রামের ছেলে রাস্তায় বেরিয়েছে, তাতে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকা কারও কারও অসুবিধা হচ্ছে।’ শুভেন্দুর সঙ্গে আর কোনও কথা নয়, জানিয়েছেন সৌগত। তিনি বলেন, এরপর যা বলার শুভেন্দুই জানাবেন, তাঁদের তরফে আর কিছু বলার নেই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন


















