সঠিক উত্তর না দিয়েও নম্বর মাধ্যমিকে, মাল্টিপল চয়েস নিয়ে বেনজির অভিযোগ, সংশোধনের বার্তা পর্ষদের
কলকাতা: এ বছরই প্রথম মাধ্যমিকে মাল্টিপল চয়েস। আর পয়লা বছরেই তার মূল্যায়ন ঘিরে বিতর্ক। মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তর থাকে চারটি। বেছে নিতে হয় সঠিক উত্তর। কিন্তু মাধ্যমিকে তার জন্য, উচ্চমাধ্যমিকের মতো উত্তর লেখার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। ফলে, উত্তরপত্রের বিভিন্ন পাতায় একই প্রশ্নের একাধিক উত্তর লেখার অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। তাতে কেউ নম্বর পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। পরীক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, স্রেফ চাতুর্য দেখিয়ে নম্বর পাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলছে, মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটি প্রশ্নের একটিই উত্তর চাই। প্রথম উত্তরটি না কেটে অন্য জায়গায় ওই প্রশ্নের উত্তর ফের লিখলে গ্রাহ্য হবে না। কিন্তু নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হচ্ছে কই! পরীক্ষকরা ঘনিষ্ঠমহলে বলছেন, এবিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগের মুখে, মূল্যায়ন পর্ব সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে পর্ষদ। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এখুনি পরীক্ষকের কাছে বার্তা দিচ্ছি। এমন ভুল হলে কারেকশন করে দেব। অভিযোগ এসেছে সরকারের কাছেও। শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন পর্ষদের সঙ্গে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যা বিজ্ঞানসম্মত সেটাই করতে হবে। একবারের বেশি উত্তর দেওয়া যাবে না, তেমন নির্দেশ তো থাকা উচিত ছিল। এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ১০ লক্ষ ৭১ হাজার। উত্তরপত্রের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লক্ষ। সূত্রের খবর, অধিকাংশ বিষয়েই এই অভিযোগ উঠেছে। অর্ধেক নম্বর যেখানে পর্ষদে জমা পড়ে গিয়েছে, সেখানে কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, উচ্চমাধ্যমিকের মতো কেন মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ঘর থাকবে না?