এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
'কোন দলের জন্য তারা মা'র কাছে ২২০ আসন চাইছেন অনুব্রত?', পুজো দেওয়া অনুব্রতকে দিলীপের খোঁচা
তবে কি অনুব্রতকেও দলে টানার কথা ভাবছে গেরুয়া শিবির? সাবধানী দিলীপের উত্তর ...
বৃহস্পতিবার মা তারার কাছে প্রার্থনা জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, '২২০ থেকে ২৩০ আসনের জন্য প্রার্থনা জানালাম তারামাকে। দল থেকে অনেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তবে মনে রাখতে হবে, কর্মীরা নেতা তৈরি করেন। নেতারা কর্মী তৈরি করেন না।'
শুক্রবার সেই কথার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, কোন দলের জন্য ২২০-২৩০ টা আসন চাইছেন?
তবে কি অনুব্রতকেও দলে টানার কথা ভাবছে গেরুয়া শিবির? সাবধানী দিলীপের উত্তর, কে দলে জায়গা পাবে - পাবে না, আমি একা ঠিক করার কে! তবে এত লোকের জায়গা হচ্ছে, এক কোনায় ওঁর জায়গা হবে না?
বৃহস্পতিবার আগামী বিধানসভা ভোটে দলের সাফল্য কামনায় তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দেন অনুব্রত মণ্ডল। একই প্রার্থনা করে জেলার ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। দেবীর দুই রূপ। প্রার্থনা এক। পক্ষ দুই। একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। কার প্রার্থনা রাখবেন দেবী? তা তো বলবে ২০২১ ই, কিন্তু তবে এই পুজো নিয়েও পরস্পরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল ও বিজেপি।
কালীপুজোর সময় ৩০০ ভরি সোনায় মাকে সাজিয়ে ২২০ আসনের প্রার্থনা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তখন তিনি বলেছিলেন, 'মায়ের কাছে চেয়েছি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যাতে ২২০টি আসন পায়। বীরভূমে তৃণমূল এগারো শূন্য যাতে হয়। সেই প্রার্থনা করেছি।'
বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
এবার প্রার্থনা, বিধানসভা ভোটে ২২০ থেকে ২৩০ আসনের।
বিধানসভা ভোটের বাকি এখনও কয়েক মাস। কিন্তু এখন থেকেই বাংলায় ভোটের উত্তাপ এতটাই, যে মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এদিন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বীরভূমে গিয়ে লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে দলের সাফল্য চেয়েই তিনি পুজো দেন। কটাক্ষ করেন অনুব্রতকে। বলেন, 'উনি যতই তারাপীঠে পুজো দিন, ওঁর পাপের বোঝা পূর্ণ হয়েছে। শাস্তি ওঁকে পেতেই হবে।'
পাল্টা অনুব্রত বলেন, 'ওরা যতই পুজো করুক, ওরা ঠাকুরের আশীর্বাদ পাবে না।'
অন্যদিকে, বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে বসতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, 'সুব্রত বক্সীকে ফোন করে বলছে, আপনার সঙ্গে একটু বসব। অনুব্রত বলছে দিল্লির নেতা ফোন করে বসতে চাইছে। ন্যূনতম সৌজন্যটুকুও নেই।'
এই দাবি উড়িয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কে ফোন করেছে জানি না। ওঁর মতো ডাকাত, মস্তান, গুন্ডাদের আমাদের দলে কোনওদিন ঠাঁই হবে না'
সব মিলিয়ে শাসক-বিরোধী তুঙ্গে তরজা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement