WB Corona Cases: রাজ্যে ১ দিনে করোনা আক্রান্ত ৫,২৭৪ জন, কমছে মৃত্যুর হারও
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬,৬৪২ জনের।
কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অন্তত এমনটাই বলছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে ১ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫, ২৭৪ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪,৪২,৮৩০ জন।
১০ জুনের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে করোনা সংক্রমণের অ্যাক্টিভ কেস ১৪,৭১৯ জন। এর পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কমেছে রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৭ জন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬,৬৪২ জনের।
পাশাপাশি রাজ্য়ে সুস্থতার হারও বেড়েছে। হিসেব অনুযায়ী রাজ্য়ে একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫,১৭০ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন মোট ১৪,১৬,৭৪৩ জন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই প্রত্য়ক্ষ করে ফেলেছে দেশ। আর এবার করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ার আগে সতর্কতা উত্তর ২৪ পরগণা জেলার স্বাস্থ্য দফতর। বারাসাত সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে ৪০টি বেড। ইতিমধ্যেই চালু হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের জন্য ৩০০ টি বেড। উল্লেখ্য, এই উত্তর ২৪ পরগণাতেই করোনা সংক্রমিত এবং মৃতের সংখ্যা সার্বাধিক।
স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিন অনুয়ায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। এই সময় পর্বে একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৫১২ জন। একদিনে সুস্থতার হার ৯৭. ৮৩ শতাংশ।
অন্যদিকে করোনায় দৈনিক মৃত্যুতে ফের রেকর্ড গড়েছে দেশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৪৮ জনের। বিহারে করোনায় মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে। বিহার সরকার জানিয়েছে, এদের মধ্যে অনেকেরই হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। কারোর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে।
প্রশাসন সম্প্রতি এই সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করাতেই মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও ফের একলক্ষ ছুঁইছুঁই। এর পাশাপাশি, ২ মাস দিন পর দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১২ লক্ষের কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৫২ জন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ১৪৮।