(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Governor Dhankar PC: হাওয়ালাকাণ্ডের চার্জশিটে কোনওদিন নাম ছিল না, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ রাজ্যপালের
West Bengal Governor denied charge of corruption. | মুখ্যমন্ত্রী যা অভিযোগ করছেন, তার কোনও সত্যতা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আশা করিনি, মন্তব্য রাজ্যপালের।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে নাম থাকা সহ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন।
রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, ‘সাংবাদিক বৈঠকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের চার্জশিটে রাজ্যপালের নাম আছে। কখনও ভাবিনি মমতার মতো নেত্রী উত্তেজনা তৈরি করতে এই অভিযোগ করবেন। এখনও পর্যন্ত জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে কেউ দোষী প্রমাণিত হননি। জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে চার্জশিটে কখনই রাজ্যপাল ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী যা অভিযোগ করছেন, তার কোনও সত্যতা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর মতো একজন নেত্রীর এমন বক্তব্য আশা করিনি। অজিত পাঁজা হাওয়ালার চার্জশিটে ছিলেন, ছাড়াও পেয়েছিলেন। রাজ্যপাল কিন্তু চার্জশিটেই ছিলেন না। যশবন্ত সিন্হার নামও চাজশিটে ছিল, মুক্তও হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে যশবন্ত সিন্হার মতো নেতার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।’
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য রাজ্যপাল বলেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছোট বোনের বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নেয়নি।’
রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই ২ জুলাই বিধানসভায় ভাষণের খসড়া পাই। খসড়া পড়ে দেখি, যা লেখা আছে, তা বাস্তব নয়। ভাষণের খসড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছি। যা নিয়ে আশঙ্কা, তা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, এটাই রাজ্যপালের কাজ। চিঠি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা খসড়া অনুমোদন করেছে। উত্তরবঙ্গে গিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলে ভয়ঙ্কর সত্য জানতে পেরেছি। ২০১৭-র পরে জিটিএ-র আর কোনও ভোট হয়নি। স্থানীয় স্তরের ভোট তো আরও দীর্ঘসময় ধরে হয়নি। জিটিএর দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে অডিট করতেই হবে। জিটিএ-র তহবিল নিয়ে অডিট ক্যাগকে দিয়ে করাতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘সংবিধানের সমস্ত স্তম্ভকে ধ্বংস করব, এর জন্যেই কী মানুষ ভোট দিয়েছেন? সংবিধানের শপথ নিয়েছি, বাচ্চাদের দস্তানা পরে আসিনি। করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনায় ২,০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কমিটির রিপোর্ট সামনে এসেছে? তদন্ত কমিটি তো হয়, কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে না। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার চেহারা সবাই দেখছে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। ওনার কী নিয়ে সমস্যা, তা আমি জানি। যা অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা সত্য থেকে বহু দূরে।’