পাহাড়ের ৪ পুরসভায় শান্তিতেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
দার্জিলিং: সমতল জ্বললেও, শান্তিতেই শেষ হল পাহাড়ে চার পুরসভার ৮৪টি আসনে ভোট। ডোমকল, পূজালিতে যখন বোমা-গুলি, সেখানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল দার্জিলিং। বাম আমলে জিএনএলএফ, তৃণমূল আমলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বরাবরই রাজনৈতিক একাধিকপত্য দেখে এসেছে পাহাড়। গতবারের পুরভোট থেকে জিটিএ নির্বাচন। সবেতেই দাপট দেখিয়েছিল বিমল গুরুংরা। কিন্তু সম্প্রতি কিছুটা হলেও বদলেছে পাহাড়ের ছবিটা। মোর্চা-বিজেপির মোকাবিলায় জিএনএলএফের হাত ধরেছে তৃণমূল। মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু তাতেও শান্ত শৈলরাণি। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়ং-- ভোটের পাহাড়ে সর্বত্রই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিভিন্ন দলের। পাহাড়ের ভোটাররাও বলছেন, ‘গণতন্ত্রের উৎসব’ যে এমনটাও হতে পারে, তা তাঁদের জানা ছিল না! এক ভোটার বললেন, সমতলে যেমন সমস্ত দলের পতাকা দেখা যায়, এখানে প্রথম দেখলাম। আরেক বাসিন্দা বললেন, পাহাড়ে গণতন্ত্র ফিরেছে। আগে প্রচার করা যেত না। এখন নির্দল প্রার্থী দাঁড়াচ্ছে। পাহাড়ে যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, তা মানছে রাজনৈতিক দলগুলিও। দার্জিলিঙের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি এন বি খাওয়াস বলেন, এরকম শান্তিপূর্ণ ভোট আগে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, সমতলের পুরসভাগুলিতেও যদি, পাহাড়ের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হত, তাহলে হয়তো এতটা অশান্তি হত না। এদিন পাহাড়ের চারটি পুরসভায় ভোট হল -- দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং ও মিরিক। এই চারটিই আগে আগে মোর্চার হাতে ছিল। এই পরিস্থিতিতে গুরুংদের সামনে আধিপত্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার পাহাড়ে ছুটে যাওয়ার পর তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারল, তার উত্তরও মিলবে বুধবার। সেদিন ফলঘোষণা।