পাখির চোখ পঞ্চায়েতে, বুথ কমিটি গড়তে নির্দেশ দিলীপের, কটাক্ষ তৃণমূলের
কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঢেলে সংগঠন সাজাচ্ছে বিজেপি। সদস্য সংগ্রহ থেকে বুথ কমিটি তৈরি। এখন থেকেই নেতাদের মাঠে নেমে পড়তে নির্দেশ দিলীপ ঘোষের। পদ্ম দূরের কথা, পাপড়িও ফুটবে না। কটাক্ষ তৃণমূলের। লক্ষ্য স্থির হয়ে গিয়েছে। এখন ঘুঁটি সাজানোর পালা। তিন দিনের রাজ্য সফরে বারবার বুথ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। এবার তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথে বুথে কমিটি তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের টার্গেট পঞ্চায়েত। বুথে বুথে কমিটি তৈরি করতে হবে। ১০ জন কর্মী থাকলে উপস্থিতি জানান দেওয়া যায়। জিততে ২০ জন দরকার। এখন যা পরিস্থিতি ৫০-১০০ জনও কোনও ব্যাপার নয়। পঞ্চায়েত ভোটের ওপর তাঁরা এত গুরুত্ব কেন দিচ্ছেন, তা-ও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে জিতলে লোকসভার ভিত মজবুত হবে। পার্লামেন্টে টার্গেট অর্ধেকের বেশি আসনে জিততে হবে। যদিও, তৃণমূলের গলায় এই তৎপরতা নিয়ে শ্লেষের সুর। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, খারাপ ছেলের বাবা উৎসাহিত করতে বলে। এতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। রাজ্যে সদস্য সংখ্যা বাড়াতেও বিজেপি কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, অমিত শাহ বলে গেছেন বাছবিচার না করতে। জুন মাসে ১০ হাজার বিস্তারক রাস্তায় নামছে। ১৫ দিন কাজ করবে। প্রত্যেককে টার্গেট দেওয়া হয়েছে দিনে ৫০ জন করে সদস্য জোগাড় করতে। অর্থাৎ ১৫ দিনে ৭৫০ জন। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, তারা এসব নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, দিলীপ ঘোষ হলেন উল্টে দেওয়া কচ্ছপ। একদিকে যেমন তৃণমূল স্তরে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তেমন নিষ্ক্রিয় সদস্যদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার ভাবনাচিন্তাও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য সভাপতি বলেছেন, এবারের রাজ্য কমিটিতে যাদের দেখছেন, পরেরবার আর দেখবেন না। বিজেপি সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যে কয়েকজন সেলিব্রিটির সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন -- বাপি লাহিড়ি, আরতি মুখোপাধ্যায় এবং কুমার শানু।