North Dinajpur: তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে ইসলামপুর করোনা হাসপাতালের কর্মীরা, সমস্যায় রোগীরা
হাসপাতাল সুপার টেলিফোনে জানিয়েছেন, ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে ২৫ জনকে নেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি নজরে আসার পরই ঠিকাদারি সংস্থাকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে গিয়ে কর্মীরা কাজে ফিরবেন।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: তিন দফা দাবিতে ইসলামপুর করোনা হাসপাতালের কর্মীরা কর্মবিরতিতে শামিল হলেন। বেতন বৃদ্ধি, পরিচয়পত্র ও সপ্তাহিক ছুটির দাবিতে ঠিকা শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। কর্মীদের আন্দোলনে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। হাসপাতাল সুপার টেলিফোনে জানিয়েছেন, ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে ২৫ জনকে নেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি নজরে আসার পরই ঠিকাদারি সংস্থাকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে গিয়ে কর্মীরা কাজে ফিরবেন।
জেলায় জেলায় করোনা হাসপাতাল চালু হওয়ার পর ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ একবছর ধরে করোনা হাসপাতালে কাজ করলেও আজ পর্যন্ত তাদের কোন পরিচয়পত্র দেওয়া হয় নি। বেতন নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। একটানা হাসপাতালে কাজ করলেও ছুটিকে নিয়মের মধ্যে রাখা হয়নি। দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ বেড়ে যাওয়ায় ইসলামপুর করোনা হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। রোগীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য শনিবার সকাল থেকেই ধর্নায় বসেছেন কর্মীরা। কর্মীদের আন্দোলনে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা।
এদিকে করোনা আবহে রাজ্যে বেড-সঙ্কটের মাঝেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কড়া বার্তা রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর। স্বাস্থ্য দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মোবাইলে কথা বলছেন করোনা রোগী। এই ছবি একাধিক হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়াই অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে এবং বাড়িতে রয়েছেন, যাঁদের অবিলম্বে সিসিইউ অথবা এইচডিইউ-তে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা এবং যাদের জেনারেল ওয়ার্ডেও ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। হাসপাতালে যাঁরা নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে হাসপাতালের সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের সুপার ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সিসিইউ ও ওয়ার্ডে গিয়ে সরেজমিনে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )