আরও পণ চান হবু বর, সঙ্গে মেয়ে হলে তালাকের ‘হুমকি’, অপমানে ‘আত্মঘাতী’ তরুণী
জলপাইগুড়ি: বিয়ের আগেই ভেঙে চুরমার তরুণীর সংসার করার স্বপ্ন! ১ মাসের মধ্যে যে বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, সেই বাড়ি থেকেই বেরোল তরুণীর মৃতদেহ। পণ ও কন্যা সন্তান হলে তালাকের হুমকি জেরে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা এই তরুণীর পরিবার সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে ২১ বছরের জরিনা খাতুনের সঙ্গে মালবাজারের বাসিন্দা অজিত হোসেনের বিয়ের পাকা কথা হয়। পণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় অজিতকে। সেইমতো বাড়িতে জোরকদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। কিন্তু এরমধ্যে সবকিছু ছাড়খার করে দিল হবু জামাইয়ের ফোন। পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ, তরুণীর বাবা জয়লাল হককে ফোন করেন অজিত। অভিযোগ, ফোনে তিনি ২-১ দিনের মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা পণের দাবি করেন। পাশাপাশি কন্যা সন্তান হলে জরিনাকে তালাক দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। জরিনার পরিবারের দাবি, একথা শুনেই নিজের ঘরে ঢুকে যান জরিনা। পরে, সেই ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। হবু স্বামীর কাছ থেকে এরকম কথা শুনে জরিনা আত্মঘাতী হন বলে দাবি পরিবারের। মৃতার জামাইবাবু বলেন, হুমকি দিয়েছে। শালি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।ঘটনার পরে মঙ্গলবার রাজগঞ্জ থানায় অজিত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। এদিন দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে থানাতেও জড়ো হন গ্রামবাসীরা।