Cyclone Yaas: শক্তি বাড়িয়ে বাংলার দিকে এগোচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, আজ দুপুর থেকে উপকূলবর্তী জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি
কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে বাংলার দিকে এগোচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ‘ইয়াস’ পরিণত হবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে।
এরপর বুধবার সন্ধেয় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার।
কাল রাতে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। ফলে গুমোট গরমের হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
যদিও আজ দিনভর অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। দুপুরের পর থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হবে। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি।
আমফানের স্মৃতি উস্কে বুধবার সন্ধেয় পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।
তার আগে কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সূত্রের খবর, এবার বিপর্যয় মোকাবিলার প্রধান দায়িত্ব থাকছে কলকাতা পুলিশের ওপর। নেতৃত্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সোমেন মিত্র।
গতকাল তাঁর নেতৃত্বে এক বৈঠকে ‘ইউনিফায়েড কমান্ড এজেন্সি’ নামে এক বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তাতে পুলিশ অফিসাররা ছাড়াও কলকাতা পুরসভা, এনডিআরএফ, বিএসএনএল ও সিইএসসি-র আধিকারিকরা রয়েছেন।
এছাড়াও কলকাতায় মোতায়েন থাকবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি, সিভিল ডিফেন্সের ১০টি, বন দফতরের ১৬টি, এবং কলকাতা পুলিশের ২২টি দল।
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার তরফে প্রত্যেক বরোতে আলাদা আলাদা দল থাকবে। গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী।
করোনা আবহে বেশ কিছুদিন ধরেই বকখালির সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় খাঁ খাঁ করছে আশপাশের এলাকা। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় বাড়ি-দোকান মেরামতির কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
কাকদ্বীপ-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় আবহাওয়ার পরিবর্তন। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করছে পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি।