Kabul airport attack: কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, ইসলামিক স্টেটের হাত দেখছে তালিবান
এ প্রসঙ্গে তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছে, আমেরিকার কাছে হামলার বিষয়ে আগেই খবর ছিল। তবে আফগানিস্তানের মাটিকে কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেবে না তালিবান।
কাবুল: আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের(Twin blasts rock Kabul airport) পিছনে ইসসলামিক স্টেট বা আইসিসের(ISIS) হাত দেখছে তালিবান। বিমানবন্দরে হামলার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তালিবান মুখপাত্র। যেখানে বলা হয়েছে, আগেই এই হামলার বিষয়ে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা।
ইসলামিক স্টেটের হাত দেখছে তালিবান (Taliban suspect IS role)
এ প্রসঙ্গে তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছে, আমেরিকার কাছে হামলার বিষয়ে আগেই খবর ছিল। The Islamic State of Iraq and the Levant (ISIL)জঙ্গিরা এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মার্কিনিদের। এই গ্রুপই বিশ্বে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া বা (ISIS)বলে পরিচিত। তবে আফগানিস্তানের মাটিকে কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেবে না তালিবান। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে তারা।
কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ (Twin blasts rock Kabul airport)
এদিন কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে পরপর দুটো বিস্ফোরণ হয়। যাতে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, তালিবান দেশ দখলের পরই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো মানুষ। এদিন তারই মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটে। আগেই এই হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল আমেরিকা ও ব্রিটেনকে।
এই ঘটনার পরই মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে কাবুলের আমেরিকান দূতাবাস। অবিলম্বে বিমানবন্দর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের। সরে আসতে বলা হয়েছে বিমানবন্দরের গেট থেকে। নাগরিকদের জন্য একই সতর্কবার্তা জারি করেছে ফ্রান্স। মার্কিন সুরক্ষা আধিকারিকদের মতে, এই হামলার পিছনে অবশ্যই IS জঙ্গিদের হাত রয়েছে। এদিন দুই আত্মাঘাতী বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন বেশকিছু মার্কিন সেনা জওয়ান।
বিকেলে ইতালির একটা বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই বিমান লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। তারপর থেকেই আচমকা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের পরিস্থিতি থমথমে হতে শুরু করে। ঠিক যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা। কিছু একটা হতে চলেছে। রাত আটটা বাজার আগেই কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর।