এক্সপ্লোর
Advertisement
গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কর্নেল সন্তোষ বাবুর পরিবারকে ৫ কোটি টাকা, জমি, স্ত্রীকে সরকারি চাকরি, ঘোষণা তেলঙ্গানা সরকারের
কেসিআর আজ লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে বলেন, আমাদের দেশের সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে থাকা সামরিক জওয়ানদের পাশে থাকা উচিত গোটা দেশের। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জীবন বলিদান দেওয়া শহিদদের সমর্থন, তাঁদের পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে হবে।
নয়াদিল্লি: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সন্তোষ বাবুর পরিবারকে যাবতীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তেলঙ্গানা সরকার। শহিদ কর্নেলের পরিবারকে নগদ ৫ কোটি টাকা, বাড়ি করার জমি দেওয়া হবে, তাঁর স্ত্রী গ্রুপ ওয়ান সরকারি পদে চাকরি পাবেন বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি নিজে সন্তোষ বাবুর বাড়ি গিয়ে সাহায্য তুলে দেবেন। গত সোমবার রাতে চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হওয়া বাকি ১৯ জওয়ানের প্রত্যেকের পরিবারকেও ১০ লক্ষ টাকা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মাধ্যমে দেবে তেলঙ্গানা সরকার।
কেসিআর আজ লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠকে বলেন, আমাদের দেশের সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে থাকা সামরিক জওয়ানদের পাশে থাকা উচিত গোটা দেশের। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জীবন বলিদান দেওয়া শহিদদের সমর্থন, তাঁদের পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে হবে। এভাবে সেনা জওয়ানদের মনে আত্মবিশ্বাস তৈরি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত। গোটা দেশ ওঁদের সঙ্গে আছে, এই বার্তা দিতে হবে আমাদের। তিনি আরও বলেন, শহিদদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রের সরকার। রাজ্য সরকারগুলিরও তেমন করা উচিত। তাহলেই সেনা জওয়ান ও তাঁদের পরিবারগুলি ভরসা পাবে যে, দেশ তাদের পাশে আছে। এভাবে ঐক্যের পরিচয় দিতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা আছে ঠিকই, তবে কোথাও না কোথাও খরচ ছাঁটাই করে প্রতিরক্ষাবাহিনীর কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।
তবে সীমান্তে ভারত, চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সরকারের কোনওরকম তাড়াহুড়ো করা উচিত নয় বলে অভিমত জানান কেসিআর। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) নেতা চিনের মোকাবিলায় দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি কৌশল নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে তাঁর সরকার থাকবে বলেও জানান কেসিআর। বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন রণনীতি, রাজনীতি নয়। তাঁর অভিমত, ভারতে একটা স্থিতিশীল, শক্তিশালী সরকার ক্ষমতায় আছে, ভারত সমীহ করার মতো অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠছে দেখে চিন হিংসে করছে। সেজন্যই প্ররোচনা দিচ্ছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement