Nuclear Device in Himalaya: হিমালয়ের বুকে এখনও আছে নিউক্লিয়ার ডিভাইস? গঙ্গায় মিশতে পারে রেডিও অ্যাক্টিভ পদার্থ? বিরাট আশঙ্কা!
Radioactive Risk at Himalaya: কিন্তু উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটলেই বারবার উঠে আসে এই 'পারমাণবিক যন্ত্রের' প্রসঙ্গ।

নয়া দিল্লি: ফের আলোচনায় হিমালয়ের বুকে 'হারিয়ে যাওয়া' পরমাণু যন্ত্র! চিনা পারমাণবিক অস্ত্র কীভাবে কাজ করছে সেটার জন্য ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরো ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নন্দাদেবীর উপর একটি পারমাণবিক যন্ত্র স্থাপন করেছিল। কিন্তু হিমালয়ের বুকে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময়ই পরমাণু-চালিত নজরদারি যন্ত্র হারিয়ে ফেলেন তাঁরা।
এরপর জল গড়িয়েছে অনেক। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটলেই বারবার উঠে আসে এই 'পারমাণবিক যন্ত্রের' প্রসঙ্গ। সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলেই কি বার বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে উত্তরাখণ্ড? ১৯৬৫ সালে চিনের উপর গুপ্তচরবৃত্তির জন্য নন্দা দেবী শৃঙ্গ সংলগ্ন এলাকায় পরমাণু নজরদারি যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা করে ভারত ও আমেরিকা। বিশ্বের ২৩তম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নন্দা দেবীতে ওই আণবিক যন্ত্রটিকে বসানোর পরিকল্পনা করে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’ বা সিআইএ এবং ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ বা আইবি। এর জন্য যৌথ ভাবে একটি গোপন অভিযান পরিচালনা করে তারা। যদিও তাতে শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসেনি।
এর আরটিজি-কে স্থাপনের মাধ্যমে তাপ, ভূমিকম্পের তরঙ্গ এবং বিকিরণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। RTG বা রেডিও আইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনাারেশন, এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করে। উপাদনটি প্রাকৃতিকভাবে ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপ নির্গত করে। এই সিস্টেমটি কয়েক কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম দ্বারা চালিত একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTG)-এর ওপর নির্ভর করত।
হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটি এখন কোথায়?
পরবর্তী দশকের পর দশক ধরে ভারতীয় এবং আমেরিকান অনুসন্ধান মিশন জেনারেটরটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং কোনও সরকারই এর কী পরিণতি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেনি। কিছু অফিসার এবং লেখক অনুমান করেছেন যে একটি ভারতীয় দল হয়তো চুপচাপ হার্ডওয়্যারটি উদ্ধার করেছে, আবার অন্যরা বিশ্বাস করেন যে ইউনিটটি এখনও নন্দা দেবী পর্বতের অস্থির বরফ এবং পাথরের কোথাও আটকে আছে।ভারতের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের ১৯৭৮ সালের এক জরিপে স্থানীয় নদীতে কোনও সনাক্তযোগ্য প্লুটোনিয়াম দূষণের খবর পাওয়া যায়নি, তবে এটি ডিভাইসটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রটি থেকে পরমাণু বিকিরণের জেরেই বিভিন্ন হিমবাহে শুরু হয়েছে গলন। বার বার নামছে তুষারধস। ফলে হড়পা বান, বন্যা বা ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে? এর প্রভাব পড়ছে গঙ্গায়ও? যদিও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানান হয়েনি, তেমন কোনও প্রভাবও মেলেনি।






















