TMC on Nandigram: ভোটের পর এবার নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে পদত্যাগের নির্দেশ তৃণমূলের
জমি আন্দোলনের আঁতুরঘরের ফল নিয়ে পোস্টমর্টেম শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল।তারপরই, দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: দল বিরোধী কাজের অভিযোগ। খাদ্যে কর্মাধ্যক্ষের পর, এবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল তৃণমূল। যদিও, দল বিরোধী কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে তৃণমূল দুর্দান্ত ফল করলেও, ব্যাতিক্রম নন্দীগ্রাম। সেখানে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি আন্দোলনের আঁতুরঘরের ফল নিয়ে পোস্টমর্টেম শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল।তারপরই, দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
খাদ্যের পর এবার পদত্যাগ করতে বলা হল, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পীযুষ ভুঁইয়াকে।নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস এ কথা জানিয়েছেন।
যদিও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে, নিজেকে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করেছেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ।আর এই নিয়েই তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
নন্দীগ্রামে ভোটের ফল নিয়ে বেশকিছুদিন হল কাটাছেঁড়া শুরু করেছে তৃণমূল।ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহার মা-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোপ পড়েছে একাধিক কর্মাধ্যক্ষের উপরও। আরও কয়েক জনের উপর কোপ পড়তে পারে বলে, তৃণমূল সূত্রে খবর।
মেয়ে মন্ত্রী। তাও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে মা তথা নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল।পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনই তৃণমূলের দখলে। বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে তাঁরই দল। বনশ্রী খাঁড়া ও তাঁর ছেলে সুদীপ খাঁড়া বাদে পঞ্চায়েতের ১৩ সদস্যের মধ্যে ১১ জন তৃণমূল সদস্য সই করেছেন অনাস্থা প্রস্তাবে।নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যে শক্তিপদ দাসের অভিযোগ,উনি বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেননি। বিরোধীদের হয়ে কাজ করেছেন। তাই ১১জন সদস্য সই করে জমা দিয়েছি।যদিও বনশ্রী খাঁড়ার দাবি, তিনি আগেই প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। স্বদেশ দাস বলেছেন, যাঁরা দলে থেকেও দল বিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন তাদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল। উনি যদি ইস্তফা দিয়ে থাকেন তাহলে ভাল।