Saket Gokhale Again Arrested: ফের গ্রেফতার 'হৃদরোগী' সাকেত ! জামিনের পর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
Gujrat Police : এর আগে মঙ্গলবার জয়পুর যাওয়া পথে গ্রেফতার হন সাকেত। জয়পুর বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ
কলকাতা : তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র (Spokesperson) সাকেত গোখলে (Saket Gokhale) ফের গ্রেফতার । আমদাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ । জামিন পাওয়ার পর সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এর আগে মঙ্গলবার জয়পুর যাওয়া পথে গ্রেফতার হন সাকেত। জয়পুর বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। কোনও নোটিস বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ট্যুইটারে অভিযোগ করেন ডেরেক ও' ব্রায়েন।
কী বলছে বিজেপি ?
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, গুজরাত পশ্চিমবঙ্গ নয় যে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলবে। গুজরাতে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল প্রতিহিংসার অভিযোগ কখনোও তুলিনি। প্রতিহিংসার রাজনীতি তো তৃণমূল করে আসছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এতবড় টাকার পাহাড় প্রদর্শন করার পরেও, তৃণমূল বলছে প্রতিহিংসা। এক মাছওয়ালার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করার পরেও বলছে প্রতিহিংসা। যেভাবে অবাধে চাকরি বিলি হল তাতে ওদের লোক ধরা পড়লে বলে প্রতিহিংসা। গ্রেফতার হয়েছেন সাকেত। তার পেছনে কারণ নিশ্চয়ই আছে। সেই কারণ আগামীকালের মধ্যেই জানা যাবে।
এদিকে সাকেত গোখলের গ্রেফতারির পর গুজরাতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল। ৫ সদস্যের দল যাচ্ছে গুজরাতের মোরবিতে। প্রতিনিধি দলে থাকছেন দোলা সেন, শান্তনু সেন, খলিলুর রহমান, অসিত কুমার মাল ও সুনীল কুমার মণ্ডল-রা। আজই রওনা হচ্ছে তৃণমূল প্রতিনিধি দল।
এর আগে গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে ট্যুইটের জেরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি থেকে বিমানে রাজস্থানের জয়পুরে নামেন সাকেত। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল গুজরাত পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ট্যুইটারে লিখেছিলেন, 'তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে চেপে জয়পুরের উদ্দেশে রওনা দেন সাকেত। উনি যখন নামেন, বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল গুজরাত পুলিশ। সেখান থেকেই ওঁকে তুলে নেওয়া হয়'।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, গত ৩১ অক্টোবর মোরবির ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয় বিজেপি-র মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাতে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। সেতু বিপর্যয়ের জন্য় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওঠে দুর্নীতির অভিযোগও। ঐতিহাসিক ওই সেতু মেরামতির বরাত কেন ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থাকে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই, সময়ের আগে ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়। তাতে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ তোলা হয়। উৎসবের মরসুমে বেশি টিকিচট বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন ; মোরবি বিপর্যয় নিয়ে ট্য়ুইটের জের! গভীর রাতে গ্রেফতার তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমদাবাদ