সাত মাসে সাত বার পাচার তরুণীকে, পুলিশের জালে ৩ রাজ্যের ৮
পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ বছরের ওই তরুণীর বাড়ি ছত্তিশগড়ে। সাত মাসে সাত বিক্রি করা হয় ওই তরুণীকে। পাচার করার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়।
রায়পুর: নৃশংসতার চরম নজির ছত্তিশগড়ে। ১৮ বছরের এক তরুণীকে সাত মাসে সাত বার পাচার। এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ৩ রাজ্যের পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ বছরের ওই তরুণীর বাড়ি ছত্তিশগড়ে। সাত মাসে সাত বিক্রি করা হয় ওই তরুণীকে। পাচার করার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির নাম বাবলু কুশওয়াহ। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে তাঁকে একাধিকবার বিক্রি করা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে আত্মহত্যা করেন তরুণী।
এই আত্মহত্যার পরই তদন্তে নামে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলার এক কিশোর ওই তরুণীর বাবা মায়ের থেকে টাকা দাবি করে। এরপরই পুলিশের নজরে আসে পাচার চক্র। পুলিশ জানিয়েছে, যশপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী তাঁর বাবাকে চাষের কাজে সাহায্য করত। এক আত্মীয় চাকরি দেওয়ার নামে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণকারী টাকা দাবি করার পরই ওই তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। টাকা না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দেয় তারা। ওই তরুণীর আত্মীয় পঞ্চম সিংহ রাই এবং তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতেই জানা যায়, সাত মাস আগে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাল্লু রাইকার নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয় তরুণীকে। সব শেষে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সন্তোষ কুশওয়াহার কাছে। ওই ব্যক্তি জোর করে তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিকবার পাচারের মানসিক যন্ত্রণা ছিলই। তার সঙ্গে এই বিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি ওই তরুণী। রাগে, ক্ষোভে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আত্মহত্যা করেন তিনি। ছত্তরপুর পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় জড়িত আছে আরও অনেকে। শুধু তাই নয়, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অঞ্চলে আরও কোনও মহিলা পাচারের শিকার কি না তার খোঁজেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
.