'মৃদু উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করান, অযথা হাসপাতালের বেড আটকে রাখবেন না', উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা
উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেলফ্ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেটেই সরকারি কাজ হবে। উদ্বাস্তুদের জন্যও এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। অন্য কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না।’
জলপাইগুড়ি: মৃদু উপসর্গ থাকলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, অযথা হাসপাতালের বেড আটকে রাখা যাবে না।
এদিন জলপাইগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘পুজোর সময় করোনা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনও ধরনের অসতর্কতা বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে তিনি মনে করিয়ে দেন। মমতা বলেন, ‘মাইল্ড সিম্পটম্ থাকলে ঘরে থাকুন। হাসপাতালে বেড আটকে রাখবেন না।’
চিকিৎসাকর্মীদেরও সাবধানে কাজ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কোভিড যোদ্ধাদের জন্য আমি গর্বিত। ‘তাঁদের জন্যই উত্তরবঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে।’ তাঁর নির্দেশ, ‘করোনা টেস্টের রিপোর্ট যাতে দ্রুত আসে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
পাশাপাশি, উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেলফ্ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেটেই সরকারি কাজ হবে। উদ্বাস্তুদের জন্যও এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। অন্য কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না।’
জনসাধারণের সমস্যার কথা মাথায় রাখতে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সমস্যা একশো শতাংশ সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। শংসাপত্র পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘জাত শংসাপত্র পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। সময় নষ্ট না করে কাজ করতে হবে। দ্রুত খারাপ রাস্তা মেরামত করতে হবে।’
তিনি মনে করিয়ে দেন, সরকারি কাজে কোনওপ্রকার গাফিলতি বরদাস্ত করবেন না তিনি। মমতা বলেন, ‘কাজে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। জোর করে কাজ আটকানো যাবে না। কারুর পেনশন আটকানো যাবে না।’
সাম্প্রতিককালে, রাজ্যে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বাংলার সহায়ক কেন্দ্র নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। রেশন নিয়ে অভিযোগের সমাধান করতে হবে।’