Manik Saha: ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের আগে বড় ঘোষণা, একসঙ্গে ১২% মহার্ঘভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার
Tripura Government Announces 12 Percent DA: ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগে বড় ঘোষণা বিজেপি সরকারের। একসঙ্গে ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার।
প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: ত্রিপুরায় (tripura) বিধানসভা (assembly election) ভোটের আগে বড় ঘোষণা (announcement) বিজেপি (BJP) সরকারের। একসঙ্গে ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর ৫ বছরে মোট ২০ শতাংশ ডিএ ঘোষণা সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় হারে মহার্ঘভাতা ঘোষণা হয়নি। ভোটের আগে ললিপপ ছাড়া কিছুই নয়, মহার্ঘভাতা ঘোষণাকে কটাক্ষ বিরোধীদের।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মানিকের কথায়, 'আজ ১২ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছি। বড় সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে। এর জন্য সাহস থাকা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে আমাদের পথ দেখান, আমরা সে ভাবেই এগিয়ে চলি।' তিনি ও সরকারে থাকা তাঁর সহকর্মীরা মিলে যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটিও জানান ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ডিএ-র হার ২০ শতাংশ, জানালেন তিনি। মানিকের মতে, '১ জানুয়ারি আসছে। এক ভাবে বললে এটি নববর্ষের উপহার।'
প্রেক্ষাপট...
সরকার গঠনের আগেই সপ্তম বেতন কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি সরকার। ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই ৩ শতাংশ হারে ডিএ-র ব্যবস্থা হয়। কয়েক বছর পর ৫ শতাংশ দেওয়া হয়। তার পর আজ একসঙ্গে ১২ শতাংশ ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এদিন মিলিয়ে মোট ২০ শতাংশ ডিএ-র ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিতে নারাজ বিরোধীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য, বিজেপি সরকার পাপ করেছিল। এবার প্রায়শ্চিত্ত করা হচ্ছে। তবে তাতে বিধানসভা নির্বাচনে পার পাবে গেরুয়া শিবির, দাবি সিপিএমের। কার্যত একসুর তৃণমূলের। যেখানে সপ্তম বেতন কমিশন করার কথা, সেখানে মোটে ২০ শতাংশ ডিএ দেওয়ার সমালোচনা করা নিয়ে সরব জোড়াফুল শিবির। বিরোধী শিবিরের কথায়, এবার কোনও ভাবেই বিজেপিকে রেয়াত করা যাবে না। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় জোট বাঁধবে বাম-কংগ্রেস। নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিবৃতি জারি করেছে বাম ও কংগ্রেস। বিজেপিকে রুখতে জোটবদ্ধ হয়েই কি বিধানসভা ভোটে লড়বে বাম-কংগ্রেস? ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, 'গত ৫৮-৫৯ মাস ধরে ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র নেই, সংবিধান অচল। এই সংবিধানকে যদি ফের দাঁড় না করানো যায়, তা হলে গত ৫৮-৫৯ মাসে যে কটি নির্বাচন হয়েছে সব প্রহসনে পরিণত হবে।' এই জন্য পুুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে এবং যে দলগুলি হাতে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানায় সিপিএম। সঙ্গে সংযোজন, 'এর এক সূদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।'
আরও পড়ুন:শুরুতে বেসরকারি হাসপাতালেই মিলবে নেজাল ভ্যাকসিন, পরে সরকারি জায়গায়, দামে ফারাক অনেকটাই