Turkey-Syria Earthquake: বিশ্বের সঙ্কটে ভারতই সবার আগে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে, তুরস্ক নিয়ে মন্তব্য মোদির
PM Modi on Turkey-Syria Earthquake: এদিন তুরস্ক থেকে ফেরা সেনার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'অপারেশন দোস্ত'-এর গোটা দলকে কুর্নিশ জানান তিনি।
নয়া দিল্লি: ভয়াবহ ভূমিকম্পের গ্রাসে তুরস্ক। সোমবার ফের কাঁপল সে দেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। পর পর ভূকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশটিতে এখনও উদ্ধার হয়ে চলেছে লাশের সারি। এরই মধ্যে বারংবার আফটার শকে কেঁপে উঠছে তুরস্ক। এদিকে তুরস্ককে এই বিপদে সাহায্য করতে ছুটে গিয়েছিল ভারত। 'অপারেশন দোস্ত' নামে ভারতের বিশেষ টিম তুরস্কে পৌঁছে উদ্ধার কাজে সাহায্য করে। এছাড়াও ভারত থেকে ত্রাণ ও মেডিকাল সামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
এদিন তুরস্ক থেকে ফেরা সেনার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'অপারেশন দোস্ত'-এর গোটা দলকে কুর্নিশ জানান তিনি। মোদি বলেন, 'যে ভাবে আমাদের সেনা তুরস্কে কাজ করেছে, তা গোটা ভারতকে গর্বিত করেছে'। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'সারা বিশ্ব ভারতকে কেবল আত্মনির্ভর দেশ হিসাবেই চেনে না। আত্মমগ্ন না হয়েই যে ভারত কাজ করে, আজ সকলেই জানে। বিশ্বে যখনই সঙ্কট দেখা দেয় ভারত সর্বদা প্রথম দেশ, যারা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে।'
India is always ready to help those facing humanitarian challenges. pic.twitter.com/55L9MqUV81
— Narendra Modi (@narendramodi) February 20, 2023
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভূমিকম্পের পরেই ৭ ফেব্রুয়ারি মোদীর নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিশেষ দলকে সে দেশে পাঠানো হয়। মোট ৩ টি এনডিআরএফ-এর টিম গিয়েছিল। পাঠানো হয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের দলকেও। বহু সামগ্রী, সাহায্যের ত্রাণ, মেডিক্যাল বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে বায়ুসেনার বিমানে সেনার বিশেষ একাধিক টিম রওনা হয় তুরস্কের উদ্দেশে। প্রায় দু’সপ্তাহ উদ্ধারকাজ চালানোর পর দেশে ফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন, ফের একবার ! ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল তুরস্ক
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের একাধিক আঘাত আছড়ে পড়েছিল তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে। তুরস্কের দক্ষিণভাগ সহ কার্যত গোটা দেশ ও সিরিয়ার এক বড় অংশ একাধিক ভূমিকম্পের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রথমে ৭.৮ , তারপর ৭.৬ ও যার পরে একে একে আরও তুলনামূলক কম তীব্র ভূমিকম্প আছড়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।