Sarabjit Singhs Killer Shot:অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে ঝাঁঝরা সরবজিৎ সিং 'খুনে' অন্যতম অভিযুক্ত
World News:অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল সরবজিৎ সিং 'খুনের' অন্যতম অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বা। পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকাকালীন ভারতীয়, সরবজিতের উপর চড়াও হয়েছিল সহবন্দিরা।
নয়াদিল্লি: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল সরবজিৎ সিং 'খুনের' অন্যতম অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বা। পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকাকালীন ভারতীয়, সরবজিতের উপর চড়াও হয়েছিল সহবন্দিরা। সেই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাম্বা লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা, হাফিজ সইদেরও ঘনিষ্ঠ ছিল বলে অভিযোগ। গত কাল, রবিবার, তাকেই, লাহৌরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে চলে যায়।
কী ঘটল?
লাহৌরের ইসলামপুরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। একদল বন্দুকবাজ বাইকে চেপে এসে তাম্বার উপর হঠাৎ করে গুলি চালিয়ে দেয়, এমনই জানা গিয়েছে লাহৌর প্রশাসন সূত্রে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শরীরে অন্তত বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ১৯৭৯ সালে লাহৌরে জন্মেছিল তাম্বা। লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের অত্যন্ত কাছের লোক ছিল সে, এমনও জানা যায়। কিন্তু তার উপর কারা এমন হামলা চালাল? এই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও বাবার 'খুনে' অভিযুক্তের এমন মৃত্যুতে মোটেও তুষ্ট নয় সরবজিৎ সিংয়ের মেয়ে স্বপনদীপ কউর। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া অন্য রকম হলেও স্বপনদীপ জানান, এটি ন্যায়বিচার হল না। বলেন, 'প্রথমে স্বস্তি পেলেও পরে মনে হয়েছে, এটা তো ন্যায়বিচার হল না। আমার বাবাকে কেন খুন করা হল, সেই সংক্রান্ত একটা শুনানি চেয়েছিলাম।' এতেই অবশ্য থামেননি স্বপনদীপ। তাঁর ধারণা, তাম্বার হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পাক-সরকার। তাঁর কথায়, 'আমার বাবার খুনের পিছনে যদি তিন-চার জন জড়িত থেকে থাকে, তা হলে মনে হয় পাকিস্তান সরকারই এই তাম্বাকে মেরে সেই ষড়যন্ত্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।'
সরবজিৎ সিংয়ের হত্যা...
লাহৌরের জিন্না হাসপাতালে ২০১৩ সালের ২ মে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান সরবজিৎ। তার আগে, সপ্তাহখানেক কোমায় ছিলেন তিনি। জানা যায়, লাহৌরের কোট লাখপত জেলে বন্দি এই ভারতীয়ের উপর তাঁর সহবন্দিরা চড়াও হয়েছিল। সেই হামলাকারীদের অন্যতম ছিল তাম্বা। ইট এবং লোহার রড দিয়ে সরবজিতকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে খবর। নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একাধিক বোমা হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম জড়িয়েছিল সরবজিতের। মৃত্য়ুদণ্ডও হয় তাঁর। যদিও সরবজিতের পরিবারের দাবি, ভুল পরিচয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে সাজা দেওযা হয়েছিল। ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে তিনি। পাকিস্তান থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে আইনি লড়াই লড়েছেন পরিবার। কিন্তু মারা যান সরবজিৎ।