পাকিস্তানে খাদ্যত্রাণ থেকে বঞ্চিত হিন্দু ও খ্রিশ্চানরা, উদ্বিগ্ন মার্কিন কমিশন
করাচির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য খাবার বিতরণ করছে।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে কোভিড-১৯ প্রকোপের মধ্যে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু ও খ্রিশ্চানদের খাদ্যত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না বলে যে খবর মিলেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রেলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)।
সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সংগঠনের কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) অনুরিমা ভার্গব বলেন, কোভিড-১৯ যত প্রকট হচ্ছে, পাকিস্তানের মধ্যে বিপন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে অনাহারের বিরুদ্ধে লড়াইও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তাঁদের পরিবারকে সুরক্ষিত ও সুস্বাস্থ্য রাখার লড়াইও।
তিনি মনে করেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের নিরিখে কারও খাদ্য সাহায্য বন্ধ করা উচিত নয়। আমরা পাক প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, খাদ্য বণ্টন সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিতে, যাতে হিন্দু থেকে শুরু করে খ্রিশ্চান সহ সব সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের মধ্যে সমানভাবে খাদ্য বণ্টন করা হয়।
সম্প্রতি, করাচির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য খাবার বিতরণ করছে। এপ্রসঙ্গে,ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার (আন্তর্জাতিক) বলেন, সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেলেন, উন্নয়নশীল দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হল এটা নিশ্চিত করা যাতে কোনও মানুষ অনাহারে না মরে।
তিনি যোগ করেন, এখন ইমরান খানের উচিত এই প্রেক্ষিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ফেলে দিলে, কোনওদিন সামনের দিকে এগনো সম্ভব নয়। না হলে, আরেকটা বিপর্যয় অপেক্ষা করছে-- তা হল ধর্মীয় বৈষম্য ও সম্প্রদায়িক হিংসা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ইউএসসিআইআরএফ-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও খ্রিশ্চানদের মাথার ওপর প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতার তরবারি ঝুলছে। সেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও সামাজিক বর্জনের শিকার হন।