498 A Tea Cafe: নির্যাতনের মিথ্যে অভিযোগ স্ত্রীর? হাতকড়া পরে চায়ের দোকান খুললেন যুবক, নাম দিলেন 498A Tea Cafe
Viral News: শুধু তাই নয়, হাতে হাতকড়া পরেই দোকান চালান কৃষ্ণ। হাতকড়া পরেই ক্রেতাদের ভাঁড়ে চা ঢালেন, হাত হাতে বিস্কুট ধরান।

জয়পুর: পণের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। আইনের দরজায় কড়া নেড়ে সুরাহা তো হয়নি, বরং আরও বেশি হেনস্থা হতে হয়েছে। উপায় না দেখে শ্বশুরবাড়ির সামনে চায়ের দোকান খুললেন যুবক। সেই দোকানের নাম রাখলেন ‘498A T Cafe’. (498 A Tea Cafe)
রাজস্থানের অন্তাহ থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। কৃষ্ণকুমার ধাকড় নামের এক যুবক ‘498A T Cafe’ নামে চায়ের দোকানটি খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মিথ্য়ে পণের মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী। চরম হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে তাঁরা। যে ধারায় মামলা করেছিলেন স্ত্রী, চায়ের দোকানের নামে তাই সেই ধারাটিকে রেখেছেন। দোকান করেছেন শ্বশুরবাড়ির সামনেই। (Viral News)
শুধু তাই নয়, হাতে হাতকড়া পরেই দোকান চালান কৃষ্ণ। হাতকড়া পরেই ক্রেতাদের ভাঁড়ে চা ঢালেন, হাত হাতে বিস্কুট ধরান। কৃষ্ণ জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে যে ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে, হাতের হাতকড়া তার প্রতীক। দোকানের মধ্যে, বাইরে একাধিক পোস্টারও সাঁটা রয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, ‘জব তক নহি মিলতা ন্য়ায়, তব তক উবলতি রহেগি চায় (বিচার না মেলা পর্যন্ত চা ফুটবে)’। পোস্টারে ‘আও চায় পর করেঁ চর্চা, ১২৫ মেঁ কিতনা দেনা পড়েগা খরচা’ লেখা পোস্টারও রয়েছে, অর্থাৎ ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদ ১২৫-এর আওতায় স্ত্রীকে কত খোরপোশ দিতে হবে, তা নিয়ে চায়ের আড্ডায় আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছেন কৃষ্ণ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে মীনাক্ষি মালভ নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দু’জনে মিলে মৌমাছি পালন ও মধু বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। এতে স্থানীয় মহিলাদেরও কর্মসংস্থান হয়। ২০২১ সালে তাঁদের সংস্থার উদ্বোধন করতে আসেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। নারীর ক্ষমতায়নই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের।
কিন্তু কৃষ্ণের অভিযোগ, ২০২২ সালে আচমকাই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান মীনাক্ষি। বাপের বাড়ি থেকে কয়েক মাস পরই 498A (পণের জন্য নির্যাতন), 125 (খোরপোশ) অনুচ্ছেদে মামলা করেন। কৃষ্ণের কথা, “মিথ্যে মামলার জেরে সব নষ্ট হয়ে গেল। গত তিন বছর ধরে বিচারের জন্য আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরছি। বয়স্ক মা আমার উপর নির্ভরশীল। টিনের চালের নীচে থাকতে হচ্ছে। সব হারিয়েছি। অনেক বার আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি আমি। কিন্তু আমি ছাড়া কেউ নেই মায়ের। তাই চা বিক্রি করে এই অসম আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইনের অপব্যবহার করে যেখান থেকে আমাকে ফাঁদে ফেলা হয়, সেখানেই চা বিক্রি করছি।”
রাজস্থানের আথানায় মায়ের সঙ্গে থাকেন কৃষ্ণ। রোজ ২২০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে চায়ের দোকানে আসেন তিনি। তাঁর বক্তব্যস “প্রত্যেকবার যখন আদালতে যাই, শুধু একটা করে তারিখ দেওয়া হয়। বিচারের সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছি না। আমি ক্লান্ত। চায়ের দোকান চালিয়েই আইনি লড়াই লড়ব।”
সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মীনাক্ষিও। তাঁর বক্তব্য, “জমি কেনার জন্য আমার বাবার থেকে টাকা দাবি করে ও। বাবা রাজি না হলে আমাকে মারধরও করে। সেই কারণেই বাপের বাড়ি চলে আসি আমি। আমি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমার নামে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে, তা চোকাতে হবে।” বিষয়টি সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।






















