Vishwash Kumar Ramesh: আহত শরীরেই দাদার শেষকৃত্যে, কাছা গলায় কফিন বইলেন আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা বিশ্বাসকুমার রমেশ
Ahmedabad Plane Crash: সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, রমেশের কপালে, গালে, কানে ব্যান্ডেজ রয়েছে।

আমদাবাদ: একসঙ্গেই বিমানে সওয়ার হয়েছিলেন দুই ভাই। ২৪১ জনের সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছেন একজন, অন্যজন সমস্ত সম্ভবকে অসম্ভব করে বেরিয়ে আসেন আগুনের গ্রাস থেকে। আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা সেই বিশ্বাসকুমার রমেশকে দেখা গেল দাদা অজয়ের শেষকৃত্যে। শরীর অসুস্থ হলেও, কাছা গলায় দাদার কফিন কাঁধে নিলেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। (Vishwash Kumar Ramesh)
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, রমেশের কপালে, গালে, কানে ব্যান্ডেজ রয়েছে। সেই অবস্থাতেই কাছা গলায় দাদার কফিন কাঁধে নিয়ে হাঁঁটছেন তিনি। চারপাশে প্রচুর মানুষের জটলাও দেখা গিয়েছে। শ্মশানের দিকে হেঁটে চলেছেন তাঁরা। আত্মীয়-পরিজবদের মাঝে দাঁড়িয়ে কাঁদতেও দেখা যায় রমেশকে। আদতে দিউয়ের বাসিন্দা রমেশ। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আরও সাত জনের দেহ দিউয়ে ফিরেছে বলে জানা যাচ্ছে। (Ahmedabad Plane Crash)
গত ১২ জুন গুজরাতের আমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটি। পাইলট, বিমানকর্মী-সহ বিমানে সওয়ার ছিলেন মোট ২৪২ জন যাত্রী। রমেশ এবং তাঁর দাদাও ওই বিমানে চেপে লন্ডন ফিরছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দর ছাড়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। বিমানযাত্রীরা তো বটেই, MBBS পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষও দুর্ঘনার বলি হন। হতাহতের সঠিক সংখ্য়া নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে।
#WATCH | Diu | Lone survivor of AI-171 flight crash, Vishwas Ramesh Kumar, mourns the death of his brother Ajay Ramesh, who was travelling on the same flight
— ANI (@ANI) June 18, 2025
Vishwas Ramesh Kumar is a native of Diu and is settled in the UK. pic.twitter.com/fSAsCNwGz5
কিন্তু সেই অভিশপ্ত বিমান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রমেশ। কী করে এমনটা সম্ভব হল, তা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তাঁর বেঁচে ফেরাকে 'মিরাকল' বলেই মানছেন সকলে। তাই খবরের শিরোনামে বার বার উঠে আসছে তাঁর নাম। আহত অবস্থায় সিভিল হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সম্প্রতি ছাড়া পান তিনি। আর তার পরই, বৃহস্পতিবার দাদার শেষকৃত্যে যোগ দিতে দেখা গেল তাঁকে।
লন্ডন থেকে দিউয়ের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন রমেশ এবং অজয়। ১২ জুন লন্ডনে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছিলেন। ওই দিন এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের 11A আসনে বসেছিলেন রমেশ। দাদা অজয় বসেছিলেন 11J আসনে। দুর্ঘটনার পর চারিদিকে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন রমেশ। এমার্জেন্সি একজিটের কাছে আসন ছিল তাঁর। বিমানের সেই অংশটি ডাক্তারদের হস্টেলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে পড়ে। তাতেই কোনও রকমে বেরিয়ে আসেন রমেশ। কিন্তু দাদা অজয় সেই সুযোগ পাননি।























