Waqf Law Case: হিন্দুদের ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেবেন কি? ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, কাল ফের শুনানি
Supreme Court: এদিনই রায় দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায় প্রধান বিচারপতিকে। কিন্তু মেহতা আরও একটি দিন সময় চান।

নয়াদিল্লি: ওয়াকফ আইন নিয়ে আগামী কালও সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি শুনবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। তবে শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী রায় দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও একদিন সময় চাওয়া হয়। তার আগে আদালত প্রস্তাব দিয়েছিল, ইতিমধ্যেই আদালত যে সমস্ত সম্পত্তিক ওয়াকফ ঘোষণা করেছে, তাতে কোনও পরিবর্তন ঘটানো যাবে না আপাতত। ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সমস্ত সদস্য মুসলিম হতে হবে, ব্যতিক্রম শুধু পদের দৌলতে বোর্ডের সদস্যপদ পাওয়া ব্যক্তিরা। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের দাতব্য ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেওয়া হবে কি, কেন্দ্রের কাছে জানতেও চায় শীর্ষ আদালত। (Waqf Law Case)
বুধবার ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের আইন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত। ওয়াকফ বোর্ডের ২২ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৮ জন কেন মুসলিম, প্রশ্ন তোলা হয়। এতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার সঙ্গে কার্যত বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার। সেই নিরিখে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন মেহতা। এতে প্রধান বিচারপতি বলেন, "বিচারপতির আসনে যখন বসি আমরা, ধর্ম থাকে না আমাদের। আমাদের কাছে সবপক্ষই সমান।"। এর পরই CJI জানতে চান, "তার মানে কি বলতে চাইছেন, হিন্দুদের দাতব্য ট্রাস্টের বোর্ডে মুসলিমদের জায়গা হবে? প্রকাশ্যে বলুন।" প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "২৬ নং ধারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। এটা সব সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য।" (Supreme Court)
এদিনই অন্তর্বর্তী রায় দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায় প্রধান বিচারপতিকে। কিন্তু মেহতা আরও একটি দিন সময় চান। সরকারের বক্তব্য আরও একদিন শোনা হোক বলে আবেদন জাানান তিনি। তাতে শেষ পর্যন্ত সায় দেন CJI. বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের সরকারের কথা শুনবে আদালত। তার আগে আজ আদালত অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে যে-
১) আদালতে কোনও সম্পত্তি যদি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। সেই সম্পত্তি কোনও ব্যক্তি ওয়াকফ হিসেবে দান করে থাকুন বা ওয়াকফ চুক্তি হয়ে থাকুক, সব ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য।
২) কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গন্য করা হবে না বলে উল্লেখ রয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত।
৩) ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম Ex Officio members, অর্থাৎ সরকারি আধিকারিক অথবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্মপরিচয় বাধ্যতামূলক নয়।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় এদিন আইনজীবীরা জানান, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নিয়ম আজকের নয়, বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। কোনও রকম আলাপ-আলোচনা না করে সংশোধনী বিল আনায় নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাঁদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। আদৌ এমন অধিকার আদৌ কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওয়াকফ বিরোধী আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয়কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে ওয়াকফ বিরোধী মোট ৭৩টি আবেদনের শুনানি চলছে।






















