![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
WB Corona Crisis: মেলেনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, তিনদিন হাসপাতালের মর্গে পড়ে রোগিণীর মৃতদেহ
কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সন্তোষপুর সাউথ রোডের বাসিন্দা মিনতি ঘোষ। পরিবারের দাবি, করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
![WB Corona Crisis: মেলেনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, তিনদিন হাসপাতালের মর্গে পড়ে রোগিণীর মৃতদেহ WB Baghajatin State General Hospital 3 days Corona test report does not match patient body in morgue WB Corona Crisis: মেলেনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, তিনদিন হাসপাতালের মর্গে পড়ে রোগিণীর মৃতদেহ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/25/edbd58be291108ce3db2584f11e01056_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এরইমধ্যে বেশ কিছু হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর সামনে এসেছে। কোথাও করোনা রিপোর্ট না আসায় অক্সিজেন না মেলার অভিযোগ, কোথাও আবার বেড না পাওয়া এবং মৃত্যুর পর দেহ বাড়িতেই পড়ে থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। এরইমধ্যে করোনা টেস্টের রিপোর্ট না আসায় এক রোগিনীর মৃতদেহ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় তিনদিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে ওই রোগিণীর মৃতদেহ। অভিযোগ মৃতের পরিবারের। কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সন্তোষপুর সাউথ রোডের বাসিন্দা মিনতি ঘোষ। পরিবারের দাবি, করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ওই রোগিণীর। অভিযোগ, এরপর তিনদিন কেটে গেলেও মেলেনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। মৃতদেহ রাখা হয়েছে হাসপাতালের মর্গে। পরিবারের দাবি, প্রথমে বাঘাযতীন হাসপাতাল থেকে নমুনা পাঠানো হয় এম আর বাঙুরে। সেখান থেকে নমুনা পাঠানো হয় এসএসকেএমে। দুটি হাসপাতাল ঘুরে করোনা রিপোর্ট কবে হাতে আসবে তা জানে না মৃতের পরিবার।
এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পর কিছুক্ষণ আগেই এসেছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। কিন্তু এখনও মর্গেই পড়ে রোগীর মৃতদেহ।
শেষপর্যন্ত ওই রোগিনীর দেহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শোকের মধ্যে এই ভোগান্তির দায় কার, সেই প্রশ্ন তাঁরা তুলেছেন।
দুদিন আগেই এক মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছিল। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট না থাকায় ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল। দোকানে দোকানে ঘুরেও মেলেনি অক্সিজেন। যাদবপুরের গড়ফা থানা এলাকায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্তের। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা পর আসে করোনা পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে, অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হয় ৭৭ বছর বয়সী সন্ধ্যারানি পালের। মৃত্যুর পরও দুর্ভোগ পরিবারের। বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘরে পড়ে ছিল মৃতদেহ। পরে দেহ সৎকার হয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)