Exit Poll vs Opinion Poll: এক্সিট পোল কী? ওপিনিয়ন পোলের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়?
উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) আজ শেষ ও সপ্তম দফার নির্বাচন। ৯ জেলার ৫৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর পাশাপাশি আরও চার রাজ্যে ভোট হয়েছে। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে।
![Exit Poll vs Opinion Poll: এক্সিট পোল কী? ওপিনিয়ন পোলের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়? What is Exit Poll, How are they different from Opinion Polls, know all details Exit Poll vs Opinion Poll: এক্সিট পোল কী? ওপিনিয়ন পোলের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/03/07/2deeeba7e048159e453324bed0b941a6_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) আজ শেষ ও সপ্তম দফার নির্বাচন। ৯ জেলার ৫৪টি আসনে ভোট হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও চার রাজ্যে ভোট হয়েছে। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে। এদিকে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আজ ভোট শেষ হওয়ার পর জানা যাবে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল। এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা শুরু হবে বিকেল চারটেয়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করবেন, এবার উত্তরপ্রদেশের মানুষ কোন দলকে বেছে নিচ্ছেন।
এক্সিট পোল কী?
কোনও নির্বাচনের এক্সিট পোলের অর্থ হল সমষ্টিগত কিছু ভোটারের বুথ বা এলাকা ভিত্তিক সমীক্ষা। একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সবচেয়ে ছোট ভোটিং ইউনিটের একটি নমুনা তৈরি করা হয়। ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্তত একজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তাতেই নির্বাচনের ফল কী হতে তার একটা অনুমান করা হয়।
একটি নির্দিষ্ট নিয়ম এমন কারোর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যিনি ভোট দিয়েছেন। কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে যতদিন জন ভোটার রয়েছেন তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন এমন তৃতীয় বা পঞ্চম জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর পাবলিক ওপিনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনি এক গুচ্ছ প্রশ্ন ভোটার দিয়ে, তা পূরণ করতে বলেন। পূরণ হলে ব্যালট বাক্সতে ওই ফরম রেখে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটারের মতামতের গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়।
সাধারণত তিন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে এক্সিট পোলের এই প্রশ্নমালা। কীভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোট দিয়েছেন? প্রশ্ন সাজানো ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তি হিসেবে ভোটারদের বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থনৈতিক অবস্থাও মাথায় রাখা হয়েছে। ভোটারের মনোভাব সহ এই তথ্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। কারণ, ভোটারদের পছন্দ, চাহিদা, বা কোনও প্রার্থী কত ভোট পেতে পারেন, তা বোঝা সম্ভব হবে। মূলত ২৫টি প্রশ্ন তাকে। যা পূরণ করতে সময় লাগে ৫ মিনিট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরদাতারা ফোনে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় ভোট দিয়েছেন কি না তা ভুল রিপোর্ট করেন। বিশ্লেষকরা অনেক সময় পূর্ববর্তী বছরের ভোটের তথ্যও তুলে ধরেন। এক্সিট পোলের তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজন। কেন সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন? কীভাবে দিয়েছেন?
এক্সিট পোল এবং ওপিনিয়ন পোলের পার্থক্য কী?
ওপিনিয়ন পোল নির্বাচনের আগে হয়। মূলত সাধারণ মানুষের মতামত জানার জন্য। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষের মতামতকে একত্রিত করা হয়। অন্যদিকে এক্সিট পোল হল নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়। কোনও ব্যক্তি ভোটদান করার পর তার থেকে একাধিক তথ্য নেওয়া হয়।
ওপনিয়ন পোলে যাঁরা অংশ নিচ্ছেন তাঁরা ভোট দান করতেও পারেন আবার নাও পারেন। তবে এক্সিট পোলে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই ভোট দিয়ে থাকেন। উভয় ক্ষেত্রেই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ওপিনিয়ন পোলেন যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁরা সমীক্ষার পর নিজেদের মত বদলাতে পারেন। আবার এক্সিট পোলে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁরা ভুল বা মিথ্যে তথ্যও দিতে পারেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)