প্যানেল সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, স্থগিত ২০১৮ নোবেল সাহিত্য পুরস্কার
স্টকহোম: ৭০ বছরে প্রথমবার। প্যানেলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় পিছিয়ে দেওয়া হল ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার। সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের বিজয়ীর সঙ্গেই ঘোষণা করা হবে ২০১৮ সালের বিজয়ীর নাম-ও।
বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে জেরবার সুইডিশ অ্যাকাডেমি, যাঁরা নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা করে থাকে। গত নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী ‘মিটু’-প্রচারের ঢেউ আছড়ে পড়ে নোবেল-সংস্থার দুয়ারে।
স্থানীয় সংবাদপত্র ‘দাগেন্স নিতার’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইডিশ সংস্কৃতির ক্ষেত্রের জনপ্রিয় তথা প্রভাবশালী মুখ জাঁ-ক্লদ আহনোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন অন্ততপক্ষে ১৮ জন মহিলা। ‘মিটু’-প্রচারের মাধ্যমে ওই মহিলারা জানান, বিভিন্ন সময় তাঁদের জাঁ-ক্লদের হাতে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং যৌন-হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিজয়ী তথা কবি কাতারিনা ফ্রস্টেন্সনের স্বামী জাঁ-ক্লদ। কিন্তু, তাতে বিতর্ক থামেনি, উল্টে বিগত কয়েক সপ্তাহে তা ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এই নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। যার জেরে ১৮ সদস্যের মধ্যে ৬ জন পদত্যাগ করেন। সেই তালিকায় রয়েছেন স্থায়ী সচিব সারা দানিয়াস।
অন্তর্বর্তীকালীন স্থায়ী সচিব অ্যান্ডার্স ওলসন জানান, বর্তমান সদস্যরা পুরো পরিস্থিতির সঙ্গে অবগত। সকলেই একমত যে, চারদিক থেকে খোলনলচে পাল্টে দেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের যে দাবি উঠেছে, তা বাস্তবসম্মত।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সুইডিশ অ্যাকাডেমি। এর আগে, সাতবার কমিটি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—১৯১৫, ১৯১৯, ১৯২৫, ১৯২৬, ১৯২৭, ১৯৩৬ এবং ১৯৪৯। এর মধ্যে পাঁচবার পরের বছরের সঙ্গে আগের বছরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।