মাসুদ আজহারকে এখনই ব্ল্যাকলিস্ট করাতে সায় নেই কেন, জানাল চিন
বেজিং: এই নিয়ে চার বার, মাসুদ আজহারের 'শিখণ্ডি' হয়ে দাঁড়াল চিন। রাষ্ট্রসংঘে যতবারই জইশ-ই-মহম্মদ ও এই সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারকে বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করেছে ভারত, ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই চিন। বিগত ১০ বছরে এই ঘটনাটা ঘটেছে চার বার। এবারও একই কাণ্ড ঘটল। ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের মতো দেশ যখন একযোগে মাসুদের গায়ে ব্যান স্টিকার সাঁটাতে চাইছে, তখনই বাধ সাধছে কমিউনিস্ট দেশ চিন। রাষ্ট্রসংঘে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে বিশ্বত্রাসের তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করার যে প্রস্তাব 'ক্ষমতাধর' রাষ্ট্রগুলো তুলেছিল তা স্রেফ 'টেকনিক্যাল হোল্ড' বলে থামিয়ে দিল চিন।
তাদের বক্তব্য, রাষ্ট্রসংঘের নিয়মের মধ্যে থেকেই তারা কাজ করছে। পাকাপোক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানই নাকি চাইছে চিন। এমন এক সমাধানের পথে তারা হাঁটতে চাইছে, যা ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সৌভ্রাতৃত্বের পথ খোলা রাখবে। এতে দুই দেশেই শান্তি বজায় থাকবে বলে দাবি করছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এও বলা হয়, "অতীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং যখনই সাক্ষাত্ করেছেন, উভয়ই নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সেই মতো দুই দেশের পারষ্পরিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই চিন কাজ করছে।"
উল্লেখ্য, ভারত চিনের এই বিরোধিতায় হতাশ। বুধবার রাষ্ট্রসংঘে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে চিন 'টেকনিক্যাল হোল্ড'-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই নিজেদের হতাশার কথা জাহির করে ভারত। তবে চিনের এই সিদ্ধান্তে যে ভারত পিছিয়ে আসছে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, সন্ত্রাস করে যারা দেশের নাগরিকদের শান্তি বিঘ্নিত করেছে, ক্ষতি করেছে তাদের শাস্তির জন্য শেষ পর্যন্ত যাবে তারা।