China : সরকারি কোভিড নীতির প্রতিবাদে চিনের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ, রাস্তায় নামলেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ
Protest against Zero-Covid Policy : শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের মুখে শোনা যায় কমিউনিস্ট পার্টি-বিরোধী স্লোগান।
বেজিং : চিনে ফের বেলাগাম করোনা। একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৩৪৭ জন। সরকারি কোভিড নীতির (China Government Covid Policy) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ।
বেজিং (Bejing), সাংহাই-সহ (Sanghai) বিভিন্ন শহরে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের মুখে শোনা যায় কমিউনিস্ট পার্টি-বিরোধী স্লোগান। দাবি কোভিড নীতি প্রত্যাহার (Revoke of Covid Policy)। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা (University Students)।
চিনে কার্যত অমিল দৃশ্যই আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সরকারের জিরো কোভিড পলিসি নীতির বিরুদ্ধে কার্যত একসঙ্গে শয়ে শয়ে মানুষের রাস্তায় নেমেছেন। জিরো কোভিড পলিসির জেরে ফের ব্যাপকহারে কোভিড পরীক্ষা ও প্রবল কঠিন লকডাউন প্রয়োগ করার পথেই এগিয়েছে সেদেশের সরকার। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
চিনের উহান প্রদেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা। বিশ্বব্যাপী যে ত্রাসের প্রভাব পুরো কাটেনি এখনও। তবে আগের থেকে অনেকটাই ফিকে হয়েছে মারণ ভাইরাসের প্রভাব। মাঝে করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় চিন সরকার কঠোর কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন নীতি নিয়েছিল চিন সরকার। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফের একবার সেই কঠোর নীতি ফিরিয়েছে সেদেশের সরকার। যার পরই প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে সেদেশে। কারণ দীর্ঘ বিধি-নিষেধের জেরে চিনবিমুখ হয়ে পড়েছে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা এতদিন উৎপাদনের জন্য বেজিংয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
আরও পড়ুন- চিনে 'দুর্দশা' থেকে মুক্তি পেতে মানুষের অস্ত্র বাপ্পি লাহিড়ির গান !
কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছিল, যাতে নিরাপত্তা আধিকারিকদের লকডাউনের প্রতিবাদকারী লোকদের উপর কঠোরভাবে দমন করতে দেখা যায়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (zero-COVID policy mandated by President Xi Jinping )এর নির্দেশে শূন্য-কোভিড নীতির অধীনে, শহর ও এলাকাগুলিকে কঠোর লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং করোনার কোনও পজিটিভ কেস রিপোর্ট হলে এলাকার লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হবে। বেজিং সহ প্রায় সমস্ত শহরেই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া, শহরের লোকেরা রেস্তোঁরা এবং বাজার সহ সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ করতে পারে না।