নেপথ্যে নোট বাতিল-জিএসটি, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ
ওয়াশিংটন: চলতি বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।
গত এপ্রিল ও জুলাই মাসে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল আইএমএফ। এদিন তা ০.৫ শতাংশ কমিয়ে ৬.৭ শতাংশ করল তারা। তাদের দাবি, নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলেই এই বৃদ্ধিহ্রাস।
এর পাশাপাশি, আগামী বছরের পূর্বাভাসও কমিয়েছে আইএমএফ। গত এপ্রিল মাসের করা পূর্বাভাসের তুলনায় ২০১৮ সালের আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৭.৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ জানিয়েছে, ভারতে বৃদ্ধির গতি স্লথ হয়েছে। এর নেপথ্যে কর্তৃপক্ষের নোট বাতিল ও জিএসটি-র প্রভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.১ উঠেছিল। গত এপ্রিল মাসে তা কমে ৬.৮ শতাংশ হয়। আইএমএফ-এর রিপোর্টের দাবি, ২০১৭ সালে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার (৬.৮ শতাংশ) ভারতের তুলনায় সামান্য ভাল।
তবে, আইএমএফ-এর আশা, ২০২৮ সালে ভারত ফের বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়া অর্থনীতির তকমা ফিরে পেতে পারে। তাঁদের পূর্বাভাস, আগামী বছর চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৬.৫ শতাংশ হরে পারে। সেই সময় চিনকে ফের টেক্কা দিতে পারে ভারত।
আইএমএফ-এর মতে, ভারতে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে শ্রমক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণকে আরও অধিক সহজ করতে হবে। একইসঙ্গে, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ারও সরলীকরণ প্রয়োজন।
আইএমএফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ভারতের গড় আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশ। পরের তিন বছর যথাক্রমে ছিল ৮.৫, ১০.৩ এবং ৬.৬ শতাংশ। ২০১২ থেকে ২০১৪ এই হার যথাক্রমে ছিল—৫.৫, ৬.৪ ও ৭.৫ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ শতাংশ। সংস্থার পূর্বাভাস, ২০২২ সাল থেকে ভারতের এই বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৮.২ শতাংশে।