‘সম্মানরক্ষায়’ ইংল্যান্ড-নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম মহিলাকে ‘অপহরণ-ধর্ষণ’ করে খুন, ধৃত ২
লন্ডন: অপরাধ বলতে এক আরব মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক। তার জন্য ‘সম্মানরক্ষায়’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মুসলিম মহিলাকে অপহরণ, ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল ইংল্যান্ড।
খবরে প্রকাশ, নিহত মহিলাকে আরেক মহিলার সঙ্গে অপহরণ করা হয়। তারপর তাঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের কিংস্টন-টেমস অঞ্চলের একটি ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়। অভিযুক্তরা সঙ্গী মহিলার গলার নলি কেটে দেয়। কিন্তু, তিনি কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। পরে, ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে গোটা ঘটনা জানান। পুলিশ এরপর একটি প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে নিহতের দেহ উদ্ধার করে।
শুক্রবার, মহিলার দেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। সেখানে বলা হয়েছে, মহিলাকে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা একজন উঠতি মেক-আপ শিল্পী ছিলেন। নিজের ব্লগে মহিলা লিখেছিলেন, তিনি একটি ছবিতে তিনি মেক-আপ আর্টিস্টের কাজও করেছেন।
অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ ৩৩ বছরের মুজাহিদ আর্শিদকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে দ্বিতীয় মহিলাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করেছে পুলিশ। মুজাহিদের পাশাপাশি ২৮ বছরের ভিনসেন্ট তাপ্পুকেও অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা এক আরব মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, যাতে বাড়ির লোকের প্রবল আপত্তি ছিল। দ্বিতীয় মহিলা পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছে, সেই অনুযায়ী, ২ অভিযুক্ত গত ১৯ তারিখ বালাক্লাভা (এক ধরনের ঘাড়পর্যন্ত-ঢাকা টুপি) পরে ঘরে ঢোকে।
ঘটনার সময়ে নিহত স্নান করছিলেন। প্রথমে, নিহতের মুখের ভেতর মোজা ঢুকিয়ে তার ওপর দিয়ে টেপ বেঁধে দেওয়া হয়। তার দিয়ে বাঁধা হয় হাত। ওই অবস্থায় তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নীচে নামানো হয়। এরপর ময়লা চাদরে দুজনকে বেঁধে গাড়িতে তুলে ওই বিশাল বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দুজনের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়।