Pakistan Political Crisis: পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা ইমরান খানের, শনিবার মুখোমুখি হতেই হবে অনাস্থা ভোটের
Pakistan Supreme Court: অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ মামলায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ৯ এপ্রিল ফের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে (Pakistan Supreme Court) বিরাট ধাক্কা খেলেন (Imran Khan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আদালতের ইর্য়কারে বোল্ড হয়ে গেলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ন্যাশনাল অ্যসাম্বলির (National Assembly) ডেপুটি স্পিকারের রায় খারিজ করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, শনিবার অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতেই হবে ইমরানকে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তও খারিজ করে দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সহমতের ভিত্তিতে নির্দেশ দিল, ৯ এপ্রিল ফের অধিবেশন বসবে সংসদে। সেদিনই বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে পাক প্রধানমন্ত্রীকে।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কট
১৯৪৭-এর পর থেকে আজ অবধি পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের সময়সীমা পার করতে পারেননি। ইমরান সরকারের বয়স তিন বছরের কিছু বেশি। তাহলে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও কি পাঁচের গেরো পার করতে পারবেন না? বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে এই প্রশ্নটাই জোরাল হয়ে উঠেছে।
আপাতত অঙ্কের হিসেবে অনাস্থা ভোটে ইমরানের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। ইতিমধ্যেই তাঁর সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও অবধি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ১৯ জন। নওয়াজ শরিফ তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। দু’বার এই দায়িত্ব পালন করেছেন প্রয়াত বেনজির ভুট্টো। যদিও এঁদের কেউই সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। যে কারণে এখনও অবধি পাকিস্তানে সাতজন কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এখনও অবধি তিনবার জনতার ভোটে নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানে বারবার সেনা অভ্যুত্থান
১৯৫৮ সালে ফিরোজ খান নুন সরকারকে বরখাস্ত করে মার্শাল ল জারি করেন জেনারেল আয়ুব খান। ১৯৭৭-এর জুলাই মাসে জেনারেল জিয়া উল হকের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত করা হয় জুলফিকার আলি ভুট্টোকে। ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফকে নির্বাসনে পাঠিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল পারভেজ মুশারফ। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের চারজন সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন। এর মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়া উল হক ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল অবধি প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। সেনাপ্রধান হিসেবেই ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ অবধি প্রেসিডেন্ট বা চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দায়িত্ব সামলান জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একই পদে ছিলেন পারভেজ মুশারফ।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, শনিবার ইমরান সরকারের পতন হলে, বেনজির ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) এর যৌথ নেতৃত্বে সরকার তৈরি হবে? নাকি ফের কোনও বড় ভূমিকায় দেখা যাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে?