Russia Ukraine War: আত্মরক্ষায় আক্রমণ হানা ছাড়া উপায় ছিল না, সমালোচনা উড়িয়ে বললেন পুতিন
Russia Ukraine War: রুশ সেনা ইতিমধ্যেই চেরনোবিলে পৌঁছে গিয়েছে, সেটির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
মস্কো: দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার আর কোনও উপায় ছিল না। একরকম বাধ্য হয়েই আক্রমণ হানতে হয়েছে তাঁকে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) মধ্যেকার সংঘাত যুদ্ধের আকার নেওয়ায় গোটা বিশ্ব যখন উদ্বেগে, সেই সময় এমনই মন্তব্য করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Purin)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের ব্যবসায়ীক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। দেশের টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ওই বৈঠক। সেখানে পুতিন বলেন, “ওই পরিস্থিতিতে আর কিছু করার ছিল না আমাদের। আত্মরক্ষার অন্য কোনও উপায় ছিল না আমাদের সামনে।”
রুশ সেনা ইতিমধ্যেই চেরনোবিলে পৌঁছে গিয়েছে, সেটির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। দেশের জ্বালানি মন্ত্রী জানা, কাখোভকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দখল নয়ে নিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।
যদিও পুতিনের দাবি, ইউক্রেনের দখল নেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই তাঁদের। বরং এই যে রক্তপাত ঘটছে, তার দায় ইউক্রেন সরকারেরই।রাশিয়ার কাজে নাক গলালে মারাত্মক ফল ভুগতে হবে বলেও অন্য দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে আমেরিকা এবং ন্যাটোকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে একাধিক বার মুখ খুলেছে রাশিয়া। অথচ তাকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হয়নি।
ইউক্রেনকে তিনি কোনও ভাবেই আমেরিকা এবং ন্যাটোর হাতের বোড়ে হতে দেবেন না বলেও জানান পুতিন। ইউক্রেনীয় সেনার স্বেচ্ছা হাতিয়ার ফেলে দিলে, কাউকে আঘাত করা হবে না বলেও জানান তিনি। তবে এই মুহূর্তে পিছু হঠার পক্ষপাতী নয় ইউক্রেনও। সামরিক ক্ষমতায় রাশিয়ার থেকে পিছিয়ে থাকলেও দেশের সাধারণ মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
রাশিয়ার সাধারণ মানুষকেও যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়া সরকার এ নিয়ে কড়া নির্দেশ জারি করেছে। প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ থেকে নাগরিকদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।