Russia Pakistan Relation: পাকিস্তানে অশান্তিতে কলকাঠি আমেরিকার! 'মস্কো সফরের শাস্তি পাচ্ছেন ইমরান', দাবি রাশিয়ার
Russia Pakistan Relation: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়ায় পৌঁছন ইমরান।
লহৌর: দেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতার নেপথ্যে আমেরিকার হাত রয়েছে বলে গোড়া থেকেই ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। সেই নিয়ে এ বার ইমরান খানের (Imran khan) পাশে দাড়াল রাশিয়া। তাদের দাবি, হুমকির চিঠি পেয়েছিলেন ইমরান। তার পরেও রাশিয়া সফর বাতিল করেননি তিনি। তাতেই আমেরিকা (US) ইমরানকে শাস্তি দিচ্ছে বলে দাবি সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের। (Russia Ukraine War)
ইমরান শুরু থেকেই বিদেশই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে আসছেন
সরাসরি মুখে নাম আনেননি বটে, কিন্তু নিজের কুর্সি টালমাটাল হওয়ার (Pakistan Political Crisis) জন্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুরু থেকেই আমেরিকাকে দায়ী করে আসছেন ইমরান। তাঁর সরকারকে উৎখাত করতে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ইমরানের অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বাধীন বিদেশ নীতিতে সায় নেই একটি বিদেশি শক্তির। তাই আস্থাভোট করিয়ে তাঁকে সিংহাসনচ্যূত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবেই নাকি পাকিস্তানকে ক্ষমা করবে ওরা।
হুমকির চিঠির কথাও উল্লেখ করেন ইমরান। তাতে তাঁর অপসারণের কথা বলা হয় বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁর সেই দাবিকে এ বার সমর্থন জানাল রাশিয়াও। এতে সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া এবং পাকিস্তানের মধ্যে গড়ে ওঠা সখ্যতাই প্রকাশ পাচ্ছে বলে মত কূটনীতিকদের। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো সফরে গিয়েছিলেন ইমরান। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে যখন একজোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা, সেই সময় তাদের ‘শত্রু’র ঘনিষ্ঠ হয়ে ইমরান আমেরিকাকেই বার্তা দিতে চাইছিলেন বলে মত কূটনীতিকদের।
রাশিয়া-পাকিস্তান, পরস্পরের কাছাকাছি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়ায় পৌঁছন ইমরান। সেখানে যুদ্ধিপরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানত চাইলে বলেন, “এমন সময়ে এসে পড়ায় উদ্দীপ্ত বোধ করছি।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গত ২৩ বছরে ইমরানই প্রথম রাশিয়ায় পা রাখলেন।
রাশিয়া সফরে গিয়ে সেখান থেকে ২৫০ কোটি ডলারের বিনিময়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস কেনানিয়ে আলোচনা সারেন ইমরান। করাচি এবং কসুরে রাশির দু’টি বন্দর গড়ে তুলতে আগ্রহী রাশিয়া। কিন্তু এ সবের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতিই এখন সন্ধি ক্ষণে দূর। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ভোট করানোর কথা চলছে। এই মুহূর্তে দেশের নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী হয়ে রয়েছেন ইমারন। তাঁকে নিয়ে গোটা দেশ যখন দ্বিখণ্ডিত, সেই সময় পাশে দাঁড়াল রাশিয়া।