(Source: Poll of Polls)
Russia-Ukraine War: 'অপারেশন গঙ্গা'-য় ২৪০ জন ভারতীয়কে নিয়ে ফিরছে ষষ্ঠ বিমান
Russia-Ukraine Crisis: এর আগে পঞ্চম বিমানে আড়াইশো জন ভারতীয়কে আনা হয়েছে।
নয়া দিল্লি : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে আরও ২৪০ জনকে নিয়ে দেশে ফিরছে বিমান। 'অপারেশন গঙ্গা'-র (Operation Ganga) আওতায় ষষ্ঠ ওই বিমান হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, দিল্লির উদ্দেশে বুদাপেস্ট থেকে ২৪০ জন ভারতীয়কে নিয়ে রওনা দিয়েছে অপারেশন গঙ্গার ষষ্ঠ বিমান। উদ্ধারকাজ আরও জোরাল হচ্ছে।
এদিকে সরকারি সূত্রের খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হবে চার কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে। তাঁরা ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে তদ্বির করবেন। হরদীপ সিং পুরী, জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়া, কিরেণ রিজিজু ও জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভি কে সিংহ-কে পাঠানো হবে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে।
এর আগে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে পঞ্চম বিমান ফেরে দেশে। দিল্লি বিমানবন্দরে নামে বিমানটি। এই দফায় আড়াইশো জন ভারতীয়কে আনা হয়। ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ বলে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া হয়ে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদিকে, ইউক্রেনে কতজন বাঙালি ছাত্রছাত্রী আটকে আছেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাইলেন লোকসভার অধ্যক্ষ। এর আগে বিষয়টি নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন ; যুদ্ধের মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন-রুশ আলোচনা শুরু
প্রসঙ্গত, যুদ্ধের মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে আলোচনা শুরু রাশিয়া ও ইউক্রেনের। আলোচনা শুরু করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেইকসি রেজনিকোভ। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। কারণ, এখানে সীমান্তের কাছেই মোতায়েন রয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন সরকারের সূত্র অনুযায়ী, মস্কোর সঙ্গে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়ার সেনা বাহিনী। সেই আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসল। এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।