Russia Ukraine War: ইউক্রেনে যুদ্ধে সামিল হতে নাগরিকদের অনুমতি দেবে ডেনমার্ক
Russia Ukraine War: রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলতি লড়াইয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য কিভ আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে।
কোপেনহেগেন: ইউক্রেনে যুদ্ধে যেতে দেশের নাগরিকদের অনুমতি দেবে ডেনমার্ক। রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলতি লড়াইয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য কিভ আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। এই বাহিনীতে যোগ দিতে তাদের দেশের নাগরিকদের অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছে কোপেনহেগেন। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট্টি ফ্রেডারিকসন বলেছেন, এ ব্যাপারে কেউ পছন্দ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা এখানে ইউক্রেনের যাঁরা আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তো প্রযোজ্য তো বটেই, সেই সঙ্গে অন্য যাঁরা ভাবছেন, যে তাঁরাও এই সংঘর্ষে সরাসরিভাবে অবদান রাখতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ফ্রেডারিকশন বলেছেন, প্রাথমিকভাবে এক্ষেত্রে আইনিভাবে কাউকে ইউক্রেনে গিয়ে ইউক্রেনের পক্ষে যোগদানে বাধা দেওয়ার কোনও সংস্থান নেই।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ডেনমার্কে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। কোপেনহেগেন রুশ দূতাবাসের বাইরে একটি বিশাল প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার এই কার্যকলাপে এখানকার সবাই, সমগ্র ইউরোপের সবাই ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংঘাতে যোগদানে নিজেদের দেশের নাগরিকদের অনুমতি দানের ক্ষেত্রে ডেনমার্কই প্রথম নয়, এর আগে এই ধারণাকে সমর্থন করেছিল ব্রিটেনও। ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস বলেছিলেন যে, যে ব্রিটিশরা ইউক্রেনের হয়ে সামরিক কাজে যোগ দিতে চান, তাঁদের তিনি সার্বিকভাবে সমর্থন জানাবেন।
এদিকে, যুদ্ধের ৫ দিনের মাথায় ইউক্রেনকে সাহায্য দিল মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর। রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia and Ukraine) বৈঠকের মাঝেই ট্যুইট করে এ কথা জানান ন্যাটো (NATO) প্রধান। "রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় পাঠানো হচ্ছে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল। ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্রও দিচ্ছে ন্যাটো। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে", ট্যুইটারে জানালেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়ার সেনা বাহিনী। সেই আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম এদিনই দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসে।