Russia Ukraine War: রাশিয়ার শান্তি বৈঠকের ডাক ফেরালেন জেলেনস্কি, রুশ সেনা কনভয় 'পিষে' দিল ইউক্রেন
Russia Ukraine War: মস্কোর তরফে এর আগে বলা হয়েছিল ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই
বেলারুশ: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেলারুশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে প্রস্তুত রাশিয়া। ক্রেমলিন সরকারের তরফে রবিবার বলা হয়েছে, শান্তি বৈঠকে বসতে তাঁরা প্রস্তুত। এমনকি রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনে তাদের আক্রমণের মাঝেই এসেছে এই বার্তা। মস্কোর তরফে এর আগে বলা হয়েছিল ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এর আগে অবশ্য ইউক্রেন বলেছিল যে তারা একটি নিরপেক্ষ দেশে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। সেক্ষেত্রে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশর এ এই বৈঠক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান ঘোষণা করেন পুতিন। তারপর থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় হামলা। গুলি থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ সবই চলছে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে। হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সেখানে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। ধীরে ধীরে একের পর এক শহরও দখল করে নিচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিভের বিমানবন্দরও রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই আলোচনা চেয়ে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন।
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে একটি ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছেন তাঁরা। এর আগেও এই দলের সঙ্গে ইউক্রেন সংকট নিয়ে কয়েক দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিনই রাশিয়ার সামনে আলোচনার প্রস্তাব এনেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে, চিনের তরফে জানানো হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে। পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছেন।
এদিকে, যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই নেই। বরং ক্রমশ বাড়ছে উত্তাপ। ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখল করার পর এবার সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলের জন্য রাস্তায় নামল রুশ সেনা। যদিও জায়গা ছাড়তে রাজি নয় ইউক্রেনও। রাস্তাতেও চলছে অবিরাম গুলিবর্ষণ। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরে এমন গুলির লড়াইয়ে অশান্তির আঁচ আরও বাড়ছে।
খারকিভের রিজিওনাল গভর্নর রবিবার বলেন, "রাশিয়ার সেনারা অস্ত্রশস্ত্রভর্তি যানবাহন নিয়ে শহরের কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে। যদিও পিছিয়ে নেই ইউক্রেনিয়ান সেনা। সশস্ত্র বাহিনী শত্রুকে ধ্বংস করছে। আমরা নাগরিকদের এখনই বাইরে বের করে নিচ্ছি না।"