Sri Lanka Crisis: মধ্যরাত থেকে শ্রীলঙ্কায় ফের জরুরি অবস্থা জারি
Sri Lanka: শ্রীলঙ্কায় অরাজকতা অব্যাহত। সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই ফের জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। আজ মধ্যরাত থেকেই জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা।
কলম্বো: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) টালমাটাল পরিস্থিতি অব্যাহত। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa)। আজ মধ্যরাত থেকেই জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা (State of Emergency)। তার আগেই দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোরতর করা হয়েছে। সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দমন করার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা।’
শ্রীলঙ্কায় সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক সঙ্কট চরমে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেদেশের সাধারণ মানুষ। শুক্রবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। বন্ধ ছিল বেশিরভাগ দোকান-বাজার, রাস্তায় যানবাহনেরও দেখা পাওয়া যায়নি। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা পার্লামেন্টে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পড়ুয়াদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এরপরেই ১ এপ্রিল জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৪ এপ্রিল জরুরি অবস্থা শিথিল করা হয়। কিন্তু আন্দোলনের জেরে ফের একই পথে হাঁটলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। দেশজুড়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠলেও, তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে মরিয়া।
১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর থেকে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ বেড়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যেই ৯ এপ্রিল থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী প্রেসিডেন্টের দফতরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। পাশাপাশি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মন্ত্রীদের বাসভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ দমন করার জন্য ৮৫ হাজার পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়। মাঝে নিরাপত্তাব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করা হলেও, ফের কঠোর করা হল।