এক্সপ্লোর
Advertisement
ওবামা হয় জানেন না, নয়তো বেশি জানেন: অরল্যান্ডো হানার প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিদ্রূপ
ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট ওবামা কি শেষ পর্যন্ত বলতে পারবেন অরল্যান্ডো হানার পিছনে রয়েছে জঙ্গি মুসলিম সন্ত্রাসবাদ? নাকি রাজনৈতিকভাবে সঠিক থাকাই তাঁর বরাবরের উদ্দেশ্য থাকবে? এই ভাষাতেই অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ডেমোক্র্যাট শিবিরে আক্রমণ শানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ব্যাপারে একের পর এক টুইট করছেন ট্রাম্প। দিচ্ছেন বিবৃতিও। তাঁর বক্তব্য, ওবামা ও প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর পরবর্তী ডেমোক্র্যাট দাবিদার হিলারি ক্লিনটন- সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে দুজনেই অবস্থানগতভাবে দুর্বল। মার্কিন জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন তাঁরা। ট্রাম্পের কথায়, রাজনৈতিকভাবে সঠিক থেকে বাহবা কুড়নোর ইচ্ছেয় এই সব হামলার পিছনে জঙ্গি ইসলামের হাত থাকার কথা তাঁরা স্বীকার করতে পারছেন না, পাছে লোকে নিন্দে করে। প্রেসিডেন্ট ওবামা যদি ইসলামি সন্ত্রাসবাদের কথা খোলাখুলি উচ্চারণ করতে না পারেন, তবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। হিলারিরও উচিত প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানো।
রবিবার ডান্স ফ্লোর হামলার পরদিন থেকেই বিভিন্ন টিভি স্টুডিওয় আলোচনায় বসে ওবামা ও হিলারিকে এ ব্যাপারে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোপন মুসলিম, জেহাদিদের প্রতি তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। তাঁর কথায়, দেশের নেতারা দুর্বল, বুদ্ধিমান ও একইসঙ্গে কঠোর না হলে এই লড়াইয়ে জেতা যাবে না। রাজনৈতিকভাবে সঠিক থাকার থেকে পরের জঙ্গি হানা আটকে দেওয়া ও দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচানো অনেক বেশি জরুরি। মুসলিম জঙ্গিদের রুখতে আমেরিকায় মুসলিম প্রবেশ বন্ধ করার কথা ফের বলেছেন তিনি।
একে সামনে প্রেসিডেন্ট ভোট, তারপর জিহাদিদের প্রতি সমবেদনার অভিযোগ। ট্রাম্পের কার্পেট বম্বিংয়ের সামনে দৃশ্যতই অসহায় হয়ে পড়েছে ডেমোক্র্যাট শিবির। হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, কট্টরপন্থী জেহাদ বা কট্টরপন্থী ইসলাম- কোনওটা বলতেই তাঁর আপত্তি নেই, কারণ দুটোরই মানে এক। কিন্তু সমস্যা হল, ট্রাম্পের চড়া গলায় জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরোধিতা যেভাবে মানুষের নজর কাড়ছে, তাতে পিছিয়ে পড়ছেন হিলারি। এমনকী ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরাও মনে করছেন, জঙ্গি দমনে ওবামা প্রশাসনের দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে অরল্যান্ডোর মত প্যারিসেও জঙ্গি হামলার ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে আইএস যোগ। লে মুরো শহরের পুলিশের ডেপুটি চিফ ও তাঁর স্ত্রীকে সোমবার রাতে কুপিয়ে মেরেছে এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। ওই অফিসারের স্ত্রীও পুলিশের উচ্চপদে ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে গুলির লড়াইয়ে ওই জঙ্গির মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার দায়স্বীকার করেছে আইএসআইএস। দম্পতির তিন বছরের ছেলে অক্ষত থাকলেও তার মানসিক অবস্থা চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখছেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
কলকাতা
খবর
খবর
Advertisement