Heart Attack: স্কুলের টিফিন টাইমে হঠাৎ অজ্ঞান, তারপরেই মৃত্যু- হৃদরোগ প্রাণ কাড়ল ৯ বছরের শিশুরও !
Rajasthan School Student Death: গত মঙ্গলবার সকালে স্কুলে গিয়েছিল মেয়েটি, সকাল থেকে সুস্থই ছিল। কিন্তু হঠাৎ টিফিন টাইমে সে ঢলে পড়ে টিফিন বক্সের উপরেই। খাবার খাওয়া আর হয় না, অজ্ঞান হয়ে যায় প্রাচী।

জয়পুর: মাত্র ৯ বছর বয়স, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। রাজস্থানের শিকর দন্ত টাউনের একটি স্কুলে পড়ে শিশুটি। নাম প্রাচী কুমাওয়াত। কে জানত তাঁর আয়ু ৯-এর ঘরেই থেমে যাবে ! মর্মান্তিক ঘটনা রাজস্থানের (Rajasthan News) সেই স্কুলে। গত মঙ্গলবার সকালে (Heart Attack) স্কুলে গিয়েছিল মেয়েটি, সকাল থেকে সুস্থই ছিল। কিন্তু হঠাৎ টিফিন টাইমে সে ঢলে পড়ে টিফিন বক্সের উপরেই। খাবার খাওয়া আর হয় না, অজ্ঞান হয়ে যায় প্রাচী।
ঘটনা দেখে শিক্ষকরা ছুটে আসেন এবং তাঁকে নিকটবর্তী কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে সুস্থ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। দেখা যায় তাঁর নাড়ির স্পন্দন নেই, রক্তচাপ অবিশ্বাস্যরকম কমে গিয়েছে আর একইসঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল যা আদপেই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাঁর পরিবার তাঁকে শিকরের একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু কোনও লাভ হয় না।
আদর্শ বিদ্যা মন্দির স্কুলের অধ্যক্ষ নন্দকিশোর তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন প্রাচী গত দুই-তিন দিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত ছিল, কারণ তার সামান্য ঠান্ডা লেগেছিল। সোমবার যখন সে স্কুলে আসে তাঁকে সুস্থই দেখাচ্ছিল। সকালের প্রার্থনাতে এবং সভাতেও সে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দুপুরে খাবার সময়েই সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
দান্তা টাউনের কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক ডা. সুভাষ ভার্মা জানান যে স্কুলের শিক্ষকরা ৯ বছর বয়সী মেয়েটিকে তাদের হেলথ সেন্টারে নিয়ে এসেছিলেন। সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল এবং হাঁপাচ্ছিল অর্থাৎ তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। রক্তচাপ কমে গিয়েছিল মেয়েটির এবং কোনও নাড়ি স্পন্দন ছিল না। সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়, অক্সিজেন দেওয়া হয়, ইঞ্জেকশন ড্রিপও দেওয়া হয়েছিল সঙ্গে সঙ্গেই। কিন্তু যথাসাধ্য চেষ্টার পরেও তাঁর অবস্থার উন্নতি না দেখে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে শিকরের একটি বড় হাসপাতালে রেফার করা হয় মেয়েটিকে। সুভাষ ভার্মা জানিয়েছেন যে মেয়েটির হয়ত জন্মগত হৃদরোগ ছিল যা তাঁর বাবা-মা লক্ষ্যই করেননি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা।
শিকরের হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন যে মেয়েটির পরিবার তাঁর ময়নাতদন্ত করাননি ফলে স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে হৃদরোগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর লক্ষণ যা যা ছিল তা সবই হার্ট অ্যাটাকের। সম্ভবত তাঁর জন্মগত হৃদরোগ ছিল এবং হঠাৎ তা অন্য কোনও অবস্থার কারণে বেড়ে গিয়েছিল। তবে প্রাচীর পরিবার জানিয়েছে যে এর আগে কোনও গুরুতর লক্ষণ প্রাচীর মধ্যে দেখাই যায়নি, ফলে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু পরিবারকে গভীরভাবে শোকগ্রস্ত করেছে।





















