Bengaluru Cop Death: স্ত্রীর অত্যাচার, শ্বশুরের হেনস্থা ! উর্দি পরেই রেললাইনে ঝাঁপ বেঙ্গালুরুর পুলিশের
Bengaluru Cop Dies by Suicide: পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে এই ব্যক্তির নাম এইচসি থিপ্পান্না। তাঁর বয়স ছিল ৩৪ বছর। থিপ্পান্না মূলত বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনের হেড কনস্টেবল ছিলেন।
Viral News: উর্দি পরেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ কনস্টেবলের। গতকাল শনিবারই ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। এর কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুর এক আইটি কর্মী অতুল সুভাষ (Atul Subhash Death) নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন এবং সুইসাইড নোটে (Bengaluru Cop Death) জানিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর কারণ মূলত স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। এবারেও ঘটনা একই, রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন যে কনস্টেবল তিনিও একটি নোটে লিখে গিয়েছেন স্ত্রীর নির্যাতনের কাহিনি।
উত্তরপ্রদেশের ছেলে অতুল সুভাষ আত্মহত্যার আগে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নিয়ে একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এবং একটি ২৪ পাতার নোট লেখেন যেখানে সবিস্তারে তিনি জানিয়েছিলেন কীভাবে দিনের পর দিন বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা (Bengaluru Cop Death) করতেন স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বারবার টাকা চাওয়া হত তাঁর কাছে। ছেলেকে দেখার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা, মামলা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে ৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল অতুলের কাছে। আর তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে সারা দেশেই এখন তোলপাড় চলছে। এবারে বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ কনস্টেবলও আত্মঘাতী হলেন স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়ে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে এই ব্যক্তির নাম এইচসি থিপ্পান্না। তাঁর বয়স ছিল ৩৪ বছর। থিপ্পান্না মূলত বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনের হেড কনস্টেবল (Bengaluru Cop Death) ছিলেন। তিনি হায়দরাবাদের বিজয়পুরা জেলার হান্ডিগানুরু জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গত শুক্রবার রাতেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন থিপ্পান্না। বেঙ্গালুরুর হিলালীগে রেলস্টেশন এবং কার্মেলারাম রেলগেটের মাঝামাঝি এলাকায় রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। হাসপাতালের মর্গে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পরে বায়াপ্পানাহালি রেলপুলিশ মামলা দায়ের করেছেন এবং এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
অতুল সুভাষের মত এই পুলিশ কনস্টেবলও মৃত্যুর আগে নিজের কাছে একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখেছিলেন যাতে জানা যায় তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমনকী সেখানে লেখাও রয়েছে যে শ্বশুরমশাই তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি লিখেছেন, '১২ ডিসেম্বর আমাকে তিনি সন্ধে ৭.২৬ নাগাদ ফোন করেন এবং আমার সঙ্গে ১৪ মিনিট কথা বলে হুমকি দেন'।
এমনকী পরেরদিন সকালে তিনি যখন শ্বশুরবাড়ি যান তখন তাঁর শ্বশুরমশাই তাঁকে বলেন যে তাঁর মেয়ে তাঁকে ছাড়াই অনেক ভাল থাকতে পারবে, থিপ্পান্না যেন মরে যান। এমনকী সেই সময় অনেক কুকথাও বলেছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই, জানিয়েছেন থিপ্পান্না। পুলিশ এই আত্মহত্যার ঘটনা মামলা হিসেবে দায়ের করেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৮, ৩৫১ (৩) এবং ৩৫২ ধারায়।