KFC Shut Down: শ্রাবণ মাসে মাংস বিক্রির জিগির তুলে KFC-তে হামলা, আউটলেট বন্ধ করাল ‘হিন্দু রক্ষা দল’; ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে তুমুল বিতর্ক
Hindu Raksha Dal storms KFC Ghaziabad: সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে এই দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যরা গেরুয়া পতাকা বহন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

Viral Video: গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্দু রক্ষা দল নামের এক হিন্দুত্ববাদী সমিতির সদস্যরা একটি কেএফসি আউটলেটের (KFC Outlet Shut Down) উপরে হামলা চালায় এবং হিন্দুদের পবিত্র শ্রাবণ মাসে আমিষ খাবার বিক্রির জিগির তুলে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করায়। বলা হয় যে এই মাসে আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না। দোকানের সামনে ধ্বজা নিয়ে প্রতিবাদ (Viral Video) জানানো হয়। ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিত হয় সেই মানুষদের মুখে মুখে আর এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক।
সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে যে গাজিয়াবাদে আরেকটি জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার দোকান ‘নাজির’-এর বাইরেও বিক্ষোভ দেখান কিছু কিছু মানুষ। এর ফলে দোকানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয় এবং কেএফসি ও এই প্রতিষ্ঠান উভয়ই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমগ্র ঘটনাই ধরা পড়ে ক্যামেরায় এবং সেই ভিডিয়ো পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে এই দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যরা গেরুয়া পতাকা বহন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং তাদের অনেকেই ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘হর হর মহাদেব’-এর মত ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছেন। আরও দেখা যাচ্ছে এই বিক্ষোভকারীরা গাজিয়াবাদের কেএফসি আউটলেটের শাটার জোর করে নামিয়ে দিচ্ছেন। আর তারপর শাটার নামানো বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই তারা কিছুক্ষণ ধরে হর হর মহাদেব ধ্বনি দিতে থাকেন।
KFC outlet selling meat during Sawan shut down by Hindus in Ghaziabad UP.
— Byomkesh Bakshi (@_Byomkesh) July 18, 2025
Meat should be banned from India.
Choose Vegetarian
Choose Vegan pic.twitter.com/UgMuD9bzR9
আরেকটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায় যে এই বিক্ষোভকারীরা রেস্তোরাঁর মধ্যে ঢুকে পড়ছেন হঠাৎ করে এবং সেখানকার কর্মীদের সম্মুখীন হচ্ছেন আর তাদের দোকান বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছেন। এক বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন, ‘শ্রাবণ মাসে এই সমস্ত জিনিস নিষিদ্ধ করা উচিত’। একটি ভিডিয়োতে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে রেস্তোরাঁর কর্মীদের তর্ক বিতর্ক করতেও দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা জোর দিয়ে বলতে থাকেন যে শ্রাবণ মাসে কেবল নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা উচিত। তবে কোনও বিক্ষোভকারীকেই হাতাহাতি করতে দেখা যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ডাকা হয় এবং পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন। পরে সেই দোকানের বন্ধ শাটারের উপরে একটি নোটিশ লাগানো হয় যে এখন থেকে শ্রাবণ মাসে শুধু নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে। পুলিশি তদন্ত চলছে এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।






















