Patient Death: ১৫ মিনিট ধরে এমার্জেন্সিতে শুয়ে, রিল দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার; হৃদরোগে হাসপাতালেই মৃত্যু মহিলার
UP Woman Dies of Heart Attack: মোবাইলে রিল দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার, সিট ছেড়ে উঠতে বলায় রোগীর ছেলে সজোরে চড় মারেন। এমার্জেন্সিতে নিয়ে গিয়েও গাফিলতির কারণে মৃত্যু হল মহিলার।
![Patient Death: ১৫ মিনিট ধরে এমার্জেন্সিতে শুয়ে, রিল দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার; হৃদরোগে হাসপাতালেই মৃত্যু মহিলার UP Woman Dies of Heart Attack in Emergency Ward as Doctor Allegdly Watching Reels Patient Death: ১৫ মিনিট ধরে এমার্জেন্সিতে শুয়ে, রিল দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার; হৃদরোগে হাসপাতালেই মৃত্যু মহিলার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/12/30/6f07fd9f80e2a6fbcf25d75c564935721735545677609490_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
UP Woman Dies: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬০ বছর বয়সী মহিলা। হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেই ১৫ মিনিট ফেলে রাখা হয় তাঁকে, ডাক্তারও ছিলেন ডিউটিতে, কিন্তু অভিযোগ যে তিনি মোবাইলে রিল (UP Woman Dies) দেখতেই ব্যস্ত ছিলেন। এই গাফিলতির কারণেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও মৃত্যু হয় তার। ডাক্তারের অবহেলার কারণে যে সংকটজনক সময় ছিল তা পেরিয়ে যেতেই মৃত্যু (Heart Attack) হয় মহিলার। এই ঘটনায় রোগীর (Patient Death) পরিবার এক বাক্যে দায়ী করেছেন সেই হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আদর্শ সঙ্গরকে। কী ঘটেছিল ?
মঙ্গলবার দুপুরেই উত্তরপ্রদেশের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৬০ বছর বয়সী প্রবেশ কুমারীকে। তার পরিবার অভিযোগ এনেছে যে সেই ডাক্তার এক নার্সকে নির্দেশ দেন সেই রোগীকে দেখার জন্য, কিন্তু তিনি নিজে আসেন না। পরিবারের তরফে বহুবার আবেদন করার পরেও নিজের জায়গা ছেড়ে ওঠেননি তিনি এবং সিটে বসে ফোন ঘাঁটতেই ব্যস্ত ছিলেন।
রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তার ছেলে গলা চড়াতে শুরু করেন, প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। এমনকী সেই চিকিৎসক উঁচু গলায় কথা বলার জন্য তাঁকে সজোরে চড়ও মারেন। স্বাভাবিকভাবে হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশ আসে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় চিকিৎসক নিজের চেয়ারে বসে আছেন, ফোন ঘাঁটছেন এবং নার্স রোগীকে দেখছেন। রোগীর ছেলেকে চড় মারতেও দেখা গিয়েছে চিকিৎসককে। সমাজমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হয়ে পড়েছে এই সিসিটিভির ভিডিয়ো ফুটেজ।
মৃত রোগীর ছেলে গুরুচরণ সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমি আমার ভাইদের সঙ্গে মৈনপুরী সরকারি হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে আমার মাকে নিয়ে এসেছিলাম। তার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল, আমরা তাঁকে স্ট্রেচারে শুইয়ে রেখেছিলাম। রোগীকে দেখছিলেন কম্পাউন্ডার ও নার্স, কিন্তু ডাক্তার তার নিজের চেয়ারে বসেছিলেন, মোবাইল ঘাঁটতে ব্যস্ত ছিলেন। আর এদিকে নার্স আমার মাকে সাধারণ সর্দি-জ্বরের রোগী হিসেবে চিকিৎসা করা শুরু করেন। চিকিৎসক তাঁকে বলেন যে নার্স দেখার পরেই মা সুস্থ হয়ে যাবেন। আমি এবং আমার ভাইয়েরা খুবই হতাশায় ছিলাম। আমরা মায়ের হাত-পা ডলে দিচ্ছিলাম। আমরা জানতামও না এই সময় কী করণীয়। ১৫ মিনিট ধরে চলে এই অবস্থা। কিছুক্ষণ পরেই মায়ের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে শুরু করে। সেই সময়েও ডাক্তার চেয়ারেই বসেছিলেন। পরে প্রচণ্ড রেগে আমাদের কাছে আসেন এবং আমাকে চড় মারেন।'
আরও পড়ুন: Gold Price: বুধের বাজারে সোনা কিনতে চাইছেন ? আজ দামে কী বদল ? দেখুন রেটচার্টে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)