Natron Lake: জল স্পর্শ করলেই পাথর! রহস্যে ঘেরা এই 'খুনি হ্রদ'
Lake Natron: বছরের অধিকাংশ সময় এই হ্রদের জলের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এর ফলে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় আর তলদেশে পড়ে থাকে জলের মতো তরল লাভা।
নয়া দিল্লি: পৃথিবীতে এমন অনেক হ্রদ রয়েছে, যেগুলো খুবই সুন্দর এবং তাদের নিজস্ব বিশেষ পরিচয় রয়েছে। কিছু কিছু হ্রদ দেখতে সুন্দর হলেও বাস্তবে অনেক বিপজ্জনকও বটে। এর মধ্যে নেট্রন লেক রয়েছে। যা তানজানিয়ায় অবস্থিত। এই হ্রদটিকে পৃথিবীর অন্যতম বিপদজনক হ্রদ বললে ভুল হবে না। এটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ২২ কিলোমিটার।
নেট্রন লেক কেন বিপজ্জনক?
দেখার দিক থেকে এই নেট্রন লেক দেখতে খুব সুন্দর। এর জল দেখতে উজ্জ্বল কমলা রঙের, তবে এটি আসলে এতটাই বিপজ্জনক যে কেউ এতে প্রবেশ করলেই পাথরে পরিণত হয়।
এই রঙের কারণ এই হ্রদে উপস্থিত অণুজীব। তবে এমন নয় যে এই হ্রদে কোনো প্রাণী নেই। এই পুকুরে কিছু ছোট প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। সোডিয়াম ও কার্বনেট এর জন্য এই হ্রদে এমন এক অণুজীব জন্ম নেয় যার জন্য এই হ্রদের জলের রং হয় লাল। এর ফলে হ্রদের জল অস্বাভাবিক ক্ষারধর্মী, যার পিএইচ-এর মাত্রা ১০.৫। এটি চামড়াকে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পশুপাখিরা এই রঙে আকৃষ্ট হয়ে হ্রদে নামে। যার ফলে মৃত্যু হয় তাদের।
বছরের অধিকাংশ সময় এই হ্রদের জলের তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এর ফলে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় আর তলদেশে পড়ে থাকে জলের মতো তরল লাভা।
প্রচুর সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে বহুকাল আগে তৈরি হয়েছে নেট্রন হ্রদের তলদেশ। এই জলে পড়ে গেলে চামড়া শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে। সোডা আর নুন। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবণ আর সোডা। যা পরবর্তীতে চুনাপাথরে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন, পরিবেশপ্রেমী বাঘ, মানুষের ছোড়া প্লাস্টিকের বোতল তুলে পরিষ্কার করল প্রাণীটিই
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে