Blood Pressure Control: ওষুধ না খেয়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব যে পদ্ধতিতে

রক্তচাপ

কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তো কারও প্রেশার লো হওয়ার সমস্যা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে নানা কারণে আমাদের শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করতে থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তচাপ। নাহলে রক্তচাপের হেরফের হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা দরকার। তবে, এমন অনেক খাবার আমাদের হাতের কাছেই থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

কুমড়োর দানা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বহু মানুষ কুমড়ো রান্না করার আগে তার মধ্যে থাকা দানা ফেলে দেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কুমড়োর ভিতরে থাকা দানা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি দারুণ কার্যকরী।

ব্রকোলি- উপকারী সব্জি হিসেবে পরিচিত ব্রকোলি। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪টি ব্রকোলি খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

লেবুজাতীয় ফল- বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আঙুর, কমলালেবু, পাতিলেবু এবং যেকোনও লেবুজাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের কারণে হওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।

বিট- বিটের উপকতারিতা অনেক। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

স্যামন বা তৈলাক্ত কোনও মাছ- স্যামন মাছ এবং যেকোনও প্রকার তৈলাক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকারী উপাদান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

পেস্তা- পায়েস কিংবা নানা খাবারে পেস্তা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পেস্তা শুধুমাত্র রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই নয়। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ সমস্ত কিছুকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

গাজর- স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী গাজর। এতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

টমেটো- খাবারে হামেশাই টমেটো ব্যবহার করে থাকেন নিশ্চয়ই? তাহলে এর উপকারিতা সম্পর্কেও জেনে নিনয হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে টমেটোর জুড়ে মেলা ভার। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।