Cricket: চিড় ধরা পায়ে ব্যাট করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পন্থ, তবে ঋষভ একা নন বিশ্বক্রিকেটে এমন নজির কম নেই

Rishabh Pant: ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিন পায়ের পাতায় বল লাগে ঋষভ পন্থের। সেই চিড় ধরা পা নিয়েই তিনি কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামেন।

ম্যাঞ্চেস্টারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন পন্থ

ম্যাঞ্চেস্টারে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের চতু্র্থ টেস্টের প্রথম দিন পায়ে চোট পান ঋষভ পন্থ। ক্রিস ওকসের বিরুদ্ধে রিভার্স স্যুইপ মারতে গিয়ে বল মিস করেন পন্থ। তা সোজা গিয়ে পন্থের পায়ে লাগে।

পন্থের পা ফুলে যায়। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়তে হয়। তাঁর হাড়ে চিড় ধরেছে বলে খবর। তবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন কার্যত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটে নামেন পন্থ।

ওই অবস্থাতেই কার্যত এক পায়ে দাঁড়িয়ে অর্ধশতরান করেন পন্থ। দ্বিতীয় ইনিংসেও পন্থ ব্যাট করবেন বলে জানান দলের ব্য়াটিং কোচ সীতাংশু কোটাক।

তবে এমন চোট পাওয়া অবস্থায় ব্যাট করার নজির কিন্তু এই প্রথম নয়।

ভারতীয় ক্রিকেটে সাহসিকতার উদাহরণ দিলেই যে ছবিটা সবার চোখের সামনে ভাসে, তা হল কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের ব্যান্ডেজ লাগিয়ে বোলিং। ২০০২ সালে অ্যান্টিগায় মার্ভিন ডিলনের বলে কুম্বলের মাড়ি ভেঙে যায়। তবে সেই নিয়েই তিনি টানা ১৪ ওভার বল করেন এবং ব্রায়ান লারাকে আউটও করেন।

ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা আরও আছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে প্যাট কামিন্সের এক বল শিখর ধবনের দস্তানায় লাগে। তখন শিখর ব্যথা অনুভব করলেও ক্রিজ ছেড়ে যাননি।

ওই চোট লাগার পর আরও ৯৩ রান যোগ করেন ধবন। ১১৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ভারতীয় ওপেনার। তাঁর ব্য়াটে ভর করেই ভারতীয় দল ম্যাচও জেতে। তবে পরে জানা যায় ধবনের বুড়ো আঙুলই ভেঙে গিয়েছে এবং তিনি টুর্নামেন্ট থেকেও ছিটকে যান।

২০০৯ সালে সিডনি টেস্টে গ্রেম স্মিথের কথা কেউ কী করে ভুলতে পারে। মিচেল জনসনের বলে স্মিথের ডান হাতই ভেঙে যায়। তবে দলের প্রয়োজনে সেই অবস্থাতেই ব্যাটিংয়ে নামেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর লড়াই সত্ত্বেও ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক দশ বল আগে তিনি আউট হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাও অল আউট হয় এবং ম্যাচ হারে।

আরেক প্রোটিয়া ওপেনার গ্যারি কার্স্টেন ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় শোয়েব আখতারের বল তাঁর মুখে লাগে। কার্স্টেনের নাক ভাঙা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ফোলা মুখ ও ভাঙা নাক নিয়েই ৪৬ রানের লড়াকু একটি ইনিংস খেলেন কার্স্টেন।

২০১৪ সালে কেপ টাউনে মর্নি মর্কেলের একাধিক বল মাইকেল ক্লার্কের গায়ে লাগে।

পরবর্তীতে দেখা যায় ক্লার্কের কাঁধই ভেঙে গিয়েছে। তবে সেই নিয়েও তিনি ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন।