Sania Mirza: রূপকথার গল্পে পট পরিবর্তন, বিবাহবিচ্ছেদের পথে টেনিস সুন্দরী সানিয়া!

Sania-Shoaib Relation: সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মির্জার দাম্পত্যে ঘনিয়ে আসছে মেঘ!

বিচ্ছেদের পথে সানিয়া-শোয়েব!

টেনিস সুন্দরী এবং ক্রিকেট তারকার রূপকথার জীবন। অতীতের বিতর্ক ভুলে আপন করে নিয়েছিলেন পরস্পরকে। কিন্তু সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মির্জার দাম্পত্যে ঘনিয়ে আসছে মেঘ!

মনের মিলন হয়ে গেলেও, সানিয়া-শোয়েবের সম্পর্কে দেশ-কালের বেড়াজাল ছিল গোড়া থেকেই। এক জন ভারতীয়, অন্য জন পাকিস্তানি।

নিজ নিজ ক্ষেত্রের সাফল্য, জনপ্রিয়তাও তাই বিতর্ক থেকে বাঁচাতে পারেনি তাঁদের। রক্ষণশীল শোয়েব এবং টেনিসের গ্ল্যামার গার্লের সম্পর্কের মেয়াদকালও নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন অনেকে।

গত ১২ বছর ধরে যদিও শত্তুরের মুখে ছাই দিয়েই দাম্পত্য টিকিয়ে রেখেছিলেন সানিয়া ও শোয়েব। নিজ নিজ দেশে নয়, দুবাইয়ে আলাদা সংসার পেতেছিলেন তাঁরা। জীবনে এসেছিল একমাত্র সন্তান ইজ়ানও।

কিন্তু এই মুহূর্তে সানিয়া ও শোয়েবের দাম্পত্য একবারে খাদের কিনারায় বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে সানিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও।

ইনস্টাগ্রামে সানিয়া লেখেন, ‘মন ভেঙেছে যাঁদের, কোথায় যাবেন তাঁরা! কোথায় গেলে দেখা মিলবে আল্লাহ-র’! আবার ছেলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এমন কিছু মুহূর্তই কঠিন সময়ে পার করে দেয় আমাকে’।

কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে, তাঁদের মধ্যে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, সানিয়াকে নাকি ঠকিয়েছেন শোয়েব! পাকিস্তানে একটি টেলিভিশন শো চলাকালীন এক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাকি ঘনিষ্ঠতা হয় তাঁর!

সানিয়া বা শোয়েব, দু’জনের কেউই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁদের পরিবারের কোনও সদস্যও এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি।

বরং সানিয়ার বোন আনম যে ইউটিউব চ্যানেল চালান, তাতে সম্প্রতি দুবাইয়ে ছেলে ইজ়ানের জন্মদিনে একসঙ্গেই দেখা গিয়েছিল সানিয়া-শোয়েবকে।

তবে ছেলের জন্মদিনে একসঙ্গে তোলা ছবি যদিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন শোয়েব, সানিয়া তা করেননি।

২০১০ সালের ১২ এপ্রিল সানিয়া এবং শোয়েব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ভারতের হায়দরাবাদে প্রথমে হয় আনুষ্ঠানিকতা তার পর পাকিস্তানের সিয়ালকোটেও আলাদা অনুষ্ঠান হয়। তার আগে, ভারতের হায়দরাবাদেরই মেয়ে আয়েষা সিদ্দিকির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শোয়েব। সেই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়।

আয়েষার দাবি ছিল, সানিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের পরই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন শোয়েব। অন্য দিকে, শোয়েবের দাবি ছিল, ফোনে এবং চিঠিতেই আয়েষার সঙ্গে পরিচয় তাঁর। সামনা সামনি না হয়ে, শুধুমাত্র ছবি দেখে আয়েষাকে ডাকযোগে বিয়ে করেন তিনি। পরে সামনা সামনি এলে দেখেন, ছবি এবং বাস্তবের আয়েষা আসলে আলাদা মানুষ। তাঁকে ঠকানো হয়েছে। আয়েষার সঙ্গে বিচ্ছেদের পাঁচ দিনের মাথাতেই সানিয়াকে বিয়ে করেন শোয়েব।